‘আমরা গত ৪৩ দিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। খোলা আকাশের নিচে রাস্তায় দিন-রাত কাটাচ্ছি। বৃষ্টি এলে ভিজে যাচ্ছি, সেই ভেজা কাপড়েই থাকতে হচ্ছে। তার ওপরে ডেঙ্গু মশার উপদ্রব। এতে আমাদের অনেকে গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। একজন শিক্ষক মারাও গেছেন। এত কিছুর পরও সরকারের মন না গলা দুঃখজনক’- আবেগতাড়িত গলায় বলছিলেন আ স ম জাফর ইকবাল। তিনি বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক।
এভাবে গত ৪৪ দিন ধরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আন্দোলন চালিয়ে শুন্য হাতে ফিরে যাচ্ছেন আন্দোলনরত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। জাতীয়করণের দাবি বাস্তবায়নের কোনো আশ্বাস না পেয়ে আশাহত হয়ে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন তারা।
আন্দোলনকারী শিক্ষকরা জানান, প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব বিপ্লব বড়ুয়া সোমবার তাদের দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়ে অনশন ভাঙাতে প্রেস ক্লাবের সামনে আসার কথা ছিল। কিন্তু তিনি আসেননি। এ ঘটনায় আরও হতাশ হয়ে পড়েন তারা। এ কারণে অনেকে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। যদিও কেউ কেউ এখনও প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান করছেন।
বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির মহাসচিব মো. কামাল হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব আন্দোলনকারী শিক্ষকদের মাঝে এসে দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি আসেননি। দীর্ঘদিন রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে দাবি পূরণের কোনো সম্ভাবনা না দেখে অনেক শিক্ষক চলে যাচ্ছেন। এ কারণে আর জোরালে আন্দোলন গড়ে তোলা সম্ভব হচ্ছে না।
কামাল হোসেন বলেন, চলমান আন্দোলনে তাদের ২৬৪ শিক্ষক অসুস্থ এবং ১৫ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের অনেকে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন; একজন মারাও গেছেন। তবুও সরকারের মন গলেনি!