সীতারাম আদিবাসী। ভারতের মধ্যপ্রদেশের নির্বাচনে জিতে বিধায়ক হয়েছেন। নির্বাচনে হারিয়েছেন কংগ্রেসের ডাকসাইটে নেতা রামনিবাস রাওয়াতকে। এর আগের দুটি নির্বাচনে হেরেছিলেন রামনিবাসেরই কাছে।
কিন্তু হাল ছাড়েননি। দারিদ্রতা সাথে নিয়ে চালিয়েছেন রাজনৈতিক লড়াই। তৃতীয় দফায় ফল মিলেছে সীতারামের। মধ্যপ্রদেশের বিজয়পুর কেন্দ্র থেকে ২০১৮ সালের শেষ দিকে বিধানসভা নির্বাচনে জেতেন ৫৫ বছরের এই বিজেপি প্রার্থী।
বিধায়ক হয়েছেন ঠিকই। তবে তার দারিদ্রতার দূর হয়নি।
নির্বাচনের আগে জমা দেয়া নিজের সম্পত্তির হিসাবে তিনি উল্লেখ করেন, তার মোট সম্পত্তির মূল্য ৪৬ হাজার ৭৩৩ রুপি। এর মধ্যে নগদ ছিল মাত্র ২৫ হাজার রুপি। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ যথাক্রমে ৫৫ হাজার ১৩ এবং ২৯ হাজার ৪২৯ টাকা।
এখনও তার সম্পত্তি ওইটুকুই। স্থাবর সম্পত্তি বলতে মাথা গোঁজার ঠাঁই এক চিলতে কুঁড়েঘর। সেখানেই স্ত্রী ইমতিবাঈকে নিয়ে বসবাস করেন নিঃসন্তান সীতারাম।
সহজ-সরল জীবনযাপনে অভ্যস্ত ওই বিধায়ক জানিয়েছেন, ‘বিধায়ক হিসেবে প্রথম বেতন পেলে সেই টাকায় তিনি জনগণের জন্য কিছু কাজ করবেন’।
তবে নিজেদের নেতা বিধায়ক হয়েও কুঁড়েঘরে থাকবেন-এটা আর মানতে পারছেন না তার ভক্ত-সমর্থকরা। তাই তারা নিজেরাই উদ্যোগ নিয়েছেন অন্তত দুই রুমের একটি পাকা ঘর তৈরি করে দিবেন নেতাকে। ইতোমধ্যে চাঁদা তুলে বাড়ি তৈরির উদ্যোগ শুরুও হয়ে গিয়েছে।
সীতারামের স্ত্রী জানিয়েছেন, চরম অভাবের মধ্যেও তার স্বামী সবসময় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
মাথা গোঁজার নতুন ঠাঁই হচ্ছে –এটা দেখে খুশি সীতারামের স্ত্রী।
তথ্য সূত্র : আনন্দবাজার অনলাইন/ ইকোনমিক টাইমস
এইচএ/৩১.০১.১৯