নীলফামারীর সৈয়দপুরে আন্তঃনগর নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনের শোভন শ্রেণীর নয়টি টিকিটসহ মো. শামীম (৪০) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে রেলওয়ে পুলিশ (জিআরপি) । তিনি স্টেশনের লেবারের কাজ করেন।
গতকাল রোববার, ১৮ আগষ্ট রাতে সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনের এক নম্বর প্লাটফর্ম থেকে কালোবাজারির টিকিট বিক্রির সময় হাতেনাতে তাকে আটক করা হয়।
জিআরপি থানা সূত্রে জানা যায়, শহরের হাতিখানা অবাঙ্গালী ক্যাম্পের মৃত শফিকের ছেলে মো. শামীম। ঘটনার দিন রাতে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি চক্রের মূল হোতা মো. শামীম স্টেশনের এক নম্বর প্লাটফর্মের দক্ষিণে আগেভাগে কেটে রাখা টিকিট বিক্রি করছিল।
এ সময় রেলওয়ে গোয়েন্দা পুলিশের এক সদস্য যাত্রীবেশে লেবার মো. শামীমের কাছে টিকিট ক্রয় করতে চায়। এ সময় সে তাঁর কাছে টিকিট আছে বলে জানায় এবং শোভন শ্রেণীর প্রতি টিকিট ৮০০ টাকা দাবি করে শামীম। এ সময় প্লাটফর্মে অবস্থানকারী সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার পুলিশ সদস্যরা তাকে আটক করেন।
পরে তাকে তল্লাশি করে আন্তঃনগর নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনের সৈয়দপুর-ঢাকা রুটের শোভন শ্রেণীর ১৫টি আসনের ৯ টি টিকিট উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত টিকিটগুলো গেল ঈদুল আজহার পরদিন অর্থাৎ ১৩ আগস্ট সকাল ৯ টা ১৪ মিনিট থেকে ৯টা ২৮ মিনিটের মধ্যে ক্রয় করা হয়। এ সময় তাঁর কাছ থেকে টিকিট বিক্রির ৫ হাজার টাকা এবং দুইটি মোবাইল ফোনসেট উদ্ধার করা হয়েছে।
স্টেশনের একটি সূত্র জানায়, লেবার মো. শামীম সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনে বিভিন্ন আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি মূল হোতা। সে দীর্ঘদিন যাবৎ রেলওয়ে স্টেশনে লেবারের কাজের আড়ালে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারির সঙ্গে জড়িত রয়েছে।
সৈয়দপুর জিআরপি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ এমদাদুল হক বাদী হয়ে শামীমের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
এবি/রাতদিন