নীলফামারীর সৈয়দপুরে বাড়ি থেকে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় রীনা আক্তার রানী (২৬) নামে এক গৃহবধূ ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শনিবার, ৮ আগস্ট দুপুরে উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের প্রামানিকপাড়ার স্বামীর বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের প্রামানিকপাড়ার সফি উদ্দিন প্রামানিকের ছেলে খাজা মঈনুদ্দিন (২৭)। ঢাকায় একটি বিউটি পার্লারে কাজ করাকালীণ নোয়াখালীর মেয়ে রীনা আক্তার রানী সঙ্গে গত ২০১৯ সালের ফেব্রæয়ারি মাসে বিয়ে হয় তাঁর। স্বামী খাজা মঈনুদ্দিন একটি ওষুধ প্রস্তুতকারী কম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি। তাঁর কর্মস্থল কুমিল্লা। আর তাঁর স্ত্রীর একটি বিউটি পার্লারের দোকান রয়েছে নারায়ণগঞ্জে। করোনা ভাইরাসের কারণে সেটি বন্ধ থাকায় গৃহবধূ রীনা আক্তার রাণী বর্তমানে স্বামীর বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। আর তাঁর স্বামী গত ২৭ জুলাই বাড়িতে এসে ২ আগষ্ট কর্মস্থলে চলে যান।
গতকাল শুক্রবার রাতে গৃহবধূ রীনা নিজ ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। এর আগে তার স্বামীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথাও বলেন। ভোরে নিজের মোবাইল ফোনের সিম খুলে তার শ্বাশড়ীকে দিয়ে আবারও ঘরের দরজা বন্ধ কওে দেন রীনা।
আজ শনিবার সকাল ৯ টা পর্যন্ত ঘুম থেকে না ওঠায় বাড়ির লোকজন ঘরের ভেল্টিলেটর দিয়ে দেখতে পায় গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছে রীণা। পরে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আতাউর রহামানের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা লাশটি নিচে নামান।
সৈয়দপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অশোক কুমার পাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
সৈয়দপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আতাউর রহমান জানান, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
এবি/রাতদিন
উত্তরের মুখ