নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায় সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০ টাকা কেজি দরের চাল বিক্রেতা ডিলার ও ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগকারী সেই ৬ সুবিধাভোগীর মাঝে নতুন করে কার্ড ইস্যু ও হস্তান্তর করা হয়েছে। সাজা দেয়া হয়েছে সেই ডিলারকে।
সোমবার, ৩০ নভেম্বর তাদের হাতে ওই কার্ড হস্তান্তর করা হয়।
তবে সুবিধাভোগীর চাল আত্মসাতের ঘটনার সংশ্লিষ্ট ডিলারের ডিলারশীপ বাতিল ও তাঁর জামানতের ২০ হাজার টাকা বাজেয়াপ্ত করা হলেও ইউপি সদস্য মো. মোতালেব হোসেনের বিরুদ্ধে কোন কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি। এ নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিযোগকারীসহ সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের সাধারণ মানুষ।
অভিযোগে জানা যায়, সারাদেশের মতো নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায়ও গত ২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১০ টাকা কেজি দরের চাল বিক্রি শুরু হয়। সেই সুবাদে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ডিলার মো. আবু সাঈদ চৌধুরী ওরফে বাবু গেল ২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের গত অক্টোবর মাস পর্যন্ত ১৯ মাস চাল বিক্রি করেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডে কার্ডধারী সুবিধাভোগী মো. জাহেদুল, আব্দুল খালেক, মজিদুল, শ্রী অশ্বিনী চন্দ্র, মো. অলিউল ও শ্রী রনজিৎ চন্দ্র শীল মাত্র দুই- তিন মাসের চাল উত্তোলন করতে পেরেছিলেন।
এসময় ওই ইউপি সদস্য (মেম্বার) সুবিধাভাগেীদের নানা অজুহাত দেখিয়ে এবং বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি প্রদর্শন করে তাদের কাছ থেকে কার্ডগুলো হাতিয়ে নিয়েছিলেন। পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ডিলার মো. আবু সাঈদ চৌধুরীর সঙ্গে যোগসাজশে তাদের কার্ডের চাল তুলে দুইজন ( সদস্য ও ডিলার) মিলে আত্মসাৎ করেন।
এ ঘটনায় ৬ কার্ডধারী সুবিধাভোগীরা গত ২০ অক্টোবর সৈয়দপুর উপজেলা খাদ্যবান্ধব কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে পৃথক পৃথক অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিক্রির ডিলার মো. আবু সাঈদ চৌধুরীর ডিলারশীপ গত ২২ অক্টোবর বাতিল করাসহ জামানাতের ২০ হাজার টাকাও বাজেয়াপ্ত করা হয়।
এ অবস্থায় গত ৩০ নভেম্বর অভিযোগকারী সেই ৬ কার্ডধারী সুবিধাভোগীর মধ্যে নতুন করে কার্ড ইস্যু ও হস্তান্তর করা হয়।
সৈয়দপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ইউএফও) মো. তৌহিদুর রহমান নতুন করে কার্ড ইস্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।