লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা প্রকৌশলী নজির হোসেনের বিরুদ্ধে একজন সড়ক নির্মাণ শ্রমিককে প্রকাশ্যে গালিগালাজ ও লাঞ্চিতের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার বিচার চেয়ে বাদশা আলী নামের ওই শ্রমিক আজ রোববার, ৯ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর(এলজিইডি) লালমনিরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
জানা গেছে, বাদশা আলী কালীগঞ্জের উত্তর ঘণেশ্যাম গ্রামের সফিয়ার রহমানের ছেলে। তিনি ‘হেড মিস্ত্রি’ হিসাবে বিভিন্ন ঠিকাদারের হয়ে সড়ক নির্মাণ কাজ করেন।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়কের হাতীবান্ধার ‘ঘুন্টিঘর থেকে পূর্ব বিছনদই সাত্তার চেয়ারম্যানের বাড়ি পর্যন্ত’ দুই কিলোমিটার কাঁচা সড়কটি পাকাকরণের কাজ চলছে এলজিইডির ত্বত্তাবধানে। এই কাজের ঠিকাদার কালীগঞ্জের এলাহী বক্স । ওই ঠিকাদারের হয়ে সেখানে নিজের লোকজন নিয়ে কাজ করছেন বাদশা আলী।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারি সকালের দিকে শ্রমিকদের নিয়ে কাজের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বাদশা আলী। এসময় হাতীবান্ধা উপজেলা প্রকৌশলী নজির হোসেন সেখানে গিয়ে ঠিকাদারকে খুঁজতে থাকেন। সেখানে ততক্ষনে ঠিকাদার গিয়ে পৌঁছাননি। ফলে অফিসে গিয়ে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার দেখা না করা পর্যন্ত কাজ বন্ধ থাকবে বলে জানিয়ে দেন ওই প্রকৌশলী।
তবে এসময় ‘ঠিকাদার এলে আপনার সাথে দেখা করতে বলবো এবং এর পরেই কাজ শুরু হবে’ বলে প্রকৌশলীকে জানান হেড মিস্ত্রি। তবে আপাতত তিনি তার কাজের জিনিসপত্র প্রস্তুত করে রাখতে চান। এতেই বাদশার উপর চড়াও হন উপজেলা প্রকৌশলী। তিনি ক্ষীপ্ত হয়ে সকলের সামনে ওই মিস্ত্রিকে গালিগালাজ করতে থাকেন। এক পর্যায়ে বাদশাকে মারতে উদ্যত হন তিনি। এসময় সেখানে উপস্থিত একজন উপ-সহকারী প্রকৌশলী এগিয়ে গিয়ে বাদশাকে রক্ষা করেন বলে তিনি তার আবেদনে উল্লেখ করেছেন।
এ বিষয়ে হেড মিস্ত্রি বাদশা আলী বলেন, ‘প্রকৌশলীর সাথে ঠিকাদারের কোনো সমস্যা থাকলে সেটা তাদের ব্যাপার। কিন্তু ঘটনাস্থলে ঠিকাদারকে না পেয়ে উপজেলা প্রকৌশলী আমাকে চরমভাবে হেনস্তা করেছেন, এমনকি তিনি আমাকে মারার চেষ্টাও করেছেন। যা তিনি কোনো ভাবেই করতে পারেন না। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই’।
অভিযোগ প্রসঙ্গে রোববার রাতে এ প্রতিবেদকের কথা হয় হাতীবান্ধা উপজেলা প্রকৌশলী নজির হোসেনের সাথে। তিনি বলেন, ‘কাজ চলাকালে কেউ আমাদের কথা না শুনলে আমরা এ ধরণের আচরণই করে থাকি। এটা এক ধরণের রেওয়াজে পরিণত হয়েছে’।
আরডি/রাতদিন