বুড়িমারী স্থলবন্দরে করোনা শনাক্তে যাত্রীদের যেনতেন স্বাস্থ্যপরীক্ষা, ভারতীয় চালকদের সেটুকুও নেই

পাটগ্রামের বুড়িমারী স্থলবন্দরে যাত্রীদের করোনাভাইরাস শনাক্তে যেনতেনভাবে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শুরু হয়েছে বেশ ক’দিন আগে। তবে ভারত থেকে আসা পণ্যবাহী ট্রাক চালকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষায় সেটুকুও নেই।

চীনে মহামারী আকার ধারণ করা প্রানঘাতি ‘ করোনাভাইরাস’ ছড়িয়ে পড়ায় লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে পার্শ্ববর্তী প্রতিবেশি দেশ ভারত থেকে সকল দেশি-বিদেশি পর্যটক প্রবেশ করছেন তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

অভিযোগ রয়েছে, স্থলবন্দরে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় থার্মাল স্ক্যানার ব্যবহার করা হচ্ছে না। সর্বোপরি ভারত থেকে আসা পণ্যবাহী ট্রাক চালকদের এখন পযন্ত কোন স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থাই করা হয়নি। ফলে ভাইরাসটি ট্রাক চালকদের মাধ্যমে দেশে প্রবেশ করার সম্ভাবনা রয়েছে।

জানা গেছে , এ স্থলবন্দর দিয়ে ভারত, ভূটান নেপাল থেকে প্রতিদিন গড়ে পাঁচ শতাধিক পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত বাংলাদেশে প্রবেশ করেন।

রোববার, ৯ ফেব্রুয়ারি সকাল এগারোটায় সরেজমিনে বুড়িমারী স্থলবন্দরের আর্ন্তজাতিক অভিবাসন চৌকি (আইসিপি) গিয়ে দেখা গেছে, অভিবাসন চৌকির প্রবেশ মুখে কাস্টমস কর্মকর্তার কার্যালয়ের একটি কক্ষে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের দহগ্রাম আঙ্গরপোতা উপ-স্বাস্থ কেন্দ্রের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডা. মো. জিল্লুর রহমানসহ কয়েকজন স্বাস্থ্য কর্মী মুখে মাস্ক দিয়ে বসে রয়েছেন। মুখে মাস্ক থাকলেও তাদের শরীরে নেই কোন প্রতিরোধি অ্যাপ্রন।

তাপমাত্রাও মাপা হচ্ছে না ভারত থেকে আসা চালকদের। ছবি: রাতদিন

ভারত থেকে আসা কয়েকজন পাসর্পোট যাত্রীর শরীরে জ্বর, মাথা ব্যথা, ঠান্ডা কাঁশি, সমস্ত শরীর ব্যথা অনুভবসহ কোন ধরনের উপসর্গ রয়েছে কিনা তা জিজ্ঞাসা করছেন ! এ ছাড়া, তারা কোথা থেকে এসেছেন, কোথায় থাকেন, সে বিষয়েও জানতে চাওয়া হয়।

ডাক্তার জানান, যাত্রীদের ডিজিটাল থার্মোমিটার দিয়ে তাপমাত্রা মেপে দেখা হচ্ছে। ওই অভিবাসন চৌকিতে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের দুইটি দল সার্বক্ষনিক কাজ করছেন। তবে, যে স্বাস্থ্য কর্মী ডিজিটাল থার্মোমিটার দিয়ে তাপমাত্রা দেখছেন তার হাতেই নেই নিরাপত্তামুলক হাত মোজা।

সবচেয়ে ভীতিকর বিষয়টি হচ্ছে, ভারত থেকে আসা পণ্যবাহী ট্রাক চালকদের এখন পযন্ত কোন স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়নি। ফলে ভাইরাসটি ট্রাক চালকদের মাধ্যমে দেশে প্রবেশ করার শতভাগ সম্ভাবনা থাকছে।

এ সময় দহগ্রাম আঙ্গরপোতা উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার ডা. মো. জিল্লুর রহমান জানান, ‘ভারতীয় ট্রাক চালকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও থার্মাল স্ক্যানারের বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

এসকে/রাতদিন