রংপুরে আগুন পোহাতে দগ্ধ প্রসূতি, সন্তানের পর মারা গেলেন মা

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নমিতা রানী দাস নামের এক প্রসুতি মারা গেছেন। তের দিন আগে খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ হন নমিতা।

রোববার, ৯ জানুয়ারি সকালে মারা যান তিনি। তিনি রংপুর মহানগরীর চব্বিশ হাজারী এলাকার দীপক কুমার রায়ের স্ত্রী।

হাসপাতাল সুত্রে জানা যায়, গত ২৮ শে জানুয়ারি সকালে গর্ভবতী ওই নারী আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ হন। পরে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে তার একটি সন্তান জন্ম নেয়। জন্মের একদিন পর সেই সন্তানটি মারা যায়।

রমেক হাসপাতালের বার্ণ এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের সিনিয়র নার্স বনিতা রানি রায় জানান, নমিতা রানী রায়ের শরীরের ৪০ ভাগ অংশ পুড়ে গিয়েছিল। ১৩ দিন ধরে তার চিকিৎসা চলছিল। রোববার সকালে তিনি মারা গেছেন।

হাসপাতালে সংশ্লিষ্ট বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত আড়াই মাসে আগুনে দগ্ধ হয়ে ১১৫ জন বিভিন্ন বয়সি নারী পুরুষ ভর্তি হন। এখনও এই হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি আছেন ৩৩ জন। ৯ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে গেছেন ৬০ জন।