রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অনাগ্রহের কারণে ব্যাপক প্রস্তুতি ও উদ্যোগ থাকা সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত এ দফায়ও ভেস্তে গেল প্রত্যাবাসন কর্মসূচী। এর আগে গত বছর নভেম্বর মাসে একই রকমের একটি প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ রোহিঙ্গাদের অনাগ্রহের কারণেই ভেস্তে যায়।
আজ বৃহষ্পতিবার, ২২ আগস্ট প্রত্যাবাসন শুরুর জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেয়া হয়েছিলো।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে টেকনাফের নোয়াপাড়ার ২৬ নং ক্যাম্পের কাছে প্রত্যাবাসন কাজে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছিলো পাঁচটি বাস ও কয়েকটি ট্রাক। এসব পরিবহণে করে কুড়ি কিলোমিটার দূরবর্তী বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে পৌঁছে দেয়ার কথা ছিলো রোহিঙ্গাদের।
তবে শেষ পর্যন্ত কোন রোহিঙ্গা সেখানে আসেনি।
পরে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন বিষয়ক কমিশনার আবুল কালাম, ঢাকাস্থ চীন দূতাবাসের দুজন প্রতিনিধি এবং মিয়ানমার দূতাবাসের এক জন প্রতিনিধি যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন।
এখানে ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন বিষয়ক কমিশনার বলেন, ‘আজ প্রত্যাবাসন শুরুর জন্য রোহিঙ্গাদের সীমান্তে পৌঁছে দেয়ার জন্য সব ধরণের প্রস্তুতি রাখা হয়েছিলো। কিন্তু সেখানে কোন রোহিঙ্গা আসেনি’।
তিনি বলেন, ‘এ পর্যন্ত ২৯৫টি পরিবারের সাক্ষাৎকার নেয়া হয়েছে। যাদের কেউই মিয়ানমারে ফেরত যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেনি’।
তবে এই কর্মসূচী অব্যাহত থাকবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বাস ও ট্রাকগুলো উপস্থিত থাকবে সেখানে। প্রত্যাবাসনে আগ্রহী কোন শরণার্থী এলেই পরিবহণগুলোতে করে তাদের সীমান্তে পৌঁছে দেয়া হবে।
চীনের প্রতিনিধি ঝেং তিয়ানঝু বলেন, প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনায় মধ্যস্থতার দায়িত্ব তার দেশ নিয়েছে।
প্রত্যাবাসন শুরুর প্রস্তুতি হিসেবে টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ঘুমধুম সীমান্ত পর্যন্ত নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
প্রসংগত, বাংলাদেশে বর্তমানে এগারো লাখের মতো রোহিঙ্গা রয়েছে। যার বেশিরভাগই বাংলাদেশে প্রবেশ করা শুরু করে ২০১৭ সালের ২৫শে অগাস্টের পর। সুত্র:বিবিসি।
আরআই/রাতদিন