মাস দেড়েক অন্ধকারে থাকার পর অবশেষে পুনরায় জ্বলছে গঙ্গাচড়া শেখ হাসিনা সেতুর বাতিগুলো। বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ ও ত্রুটি সারিয়ে তোলার পর গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে বাতিগুলো জ্বলছে বলে জানা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উদ্বোধনের মাস ছয়েক যেতে না যেতেই রাতের বেলা অনেকটা অরক্ষিত হয়ে পড়েছিল ‘গঙ্গাচড়া শেখ হাসিনা সেতু’। মাসখানেক ধরে সেতুর বৈদ্যুতিক বাতিগুলো জ্বলছিল না। ফলে সন্ধ্যা নামার সাথে সাথেই সেতুটিসহ আশপাশের এলাকা অন্ধকারে ছেয়ে থাকতো। এতে একদিকে যেমন ঘটছে ছোটখাটো নানা ধরণের দুর্ঘটনা। অন্যদিকে সেখানে ছিনতাইয়ের মতো ঘটনাও ঘটছে।
বিষয়টি নিয়ে গত ২১ এপ্রিল দৈনিক কালের কন্ঠ ‘শতকোটি টাকার সেতু ছয় মাসেই অন্ধকারে’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এরপর নড়েচড়ে বসে এলজিইডি কতৃপক্ষ। তারা দ্রুত পল্লী বিদ্যুতের পাওনা পরিশোধের পাশাপাশি সেতুর বাতিগুলো জ্বালাতে যান্ত্রিক ত্রুটি সারিয়ে ফেলে। এরপর গত বৃহস্পতিবার থেকে বাতিগুলো জ্বলতে থাকে। শনিবার, ৫ মে রাতে সেতু এলাকায় গিয়ে এর সত্যতা মিলেছে।
পল্লী বিদ্যুতের গঙ্গাচড়া (রংপুর) জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মো. নুরুজ্জামান রোববার দুপুরে রাতদিননিউজকে বলেন, ‘এতদিন ধরে বকেয়া থাকা বিলের কারণে বিদুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়নি। বাতি জ্বলেনি সার্কিট ব্রেকারের সমস্যার কারণে। পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশের পর এলজিইডির অনুরোধে আমরা সেই ত্রুটি সারিয়ে দিয়েছি। ফলে বাতিগুলো এখন জ্বলছে।’
প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘গঙ্গাচড়া শেখ হাসিনা সেতু’র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন। অবশ্য এর বেশ কিছুদিন আগে থেকেই সেটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়েছিল। সেতুর নকশা অনুযায়ী মূল সেতুরে উভয় পাশে লাগানো হয় সড়কবাতি। যা শুরু থেকেই জ্বলছিল।
জানা গেছে, বুড়িমারী স্থলবন্দরসহ লালমনিরহাটের চার উপজেলার সাথে রংপুরসহ সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ ৫০ কিলোমিটার কমিয়ে আনতে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ ও রংপুরের গঙ্গাচড়ার মাঝখানে থাকা তিস্তা নদীর উপর নির্মিত হয় গঙ্গাচড়া শেখ হাসিনা সেতু। ৮৫০ মিটার দৈর্ঘ্যরে মূল সেতু নির্মাণে ব্যয় হয় ১২১ কোটি টাকা।
এইচএ/রাতদিন