বিশ্বজুড়ে নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ৫ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ গেছে। একই সময়ে নতুন করে প্রায় পৌনে দুই লাখ মানুষ প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা ৫ লাখ ১ হাজার ছাড়িয়েছে। আর এতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ১ লাখ ছুঁইছুঁই।
পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যমতে, আজ ২৮ জুন, রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত সারা পৃথিবীতে এ ভাইরাসে আক্রান্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৮১ হাজার ৪৭৭ জনে। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৫ লাখ ১ হাজার ২৯৮ জন। বিপরীতে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫৪ লাখ ৫৮ হাজার ৩৬৭ জন করোনারোগী। বর্তমানে যে ৪১ লাখ ২১ হাজার ৮১২ জন চিকিৎসাধীন আছেন, তাদের মধ্যে ৫৭ হাজার ৭৪৮ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ২৬ লাখ ছুইঁছুঁই। এখন পর্যন্ত দেশটিতে ২৫ লাখ ৯৬ হাজার ৫৩৭ জনের শরীরে শনাক্ত হয়েছে ভাইরাসটি, যা বিশ্বে সর্বোচ্চ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩ লাখ ১৫ হাজার ৯৪১ জনের শরীরে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে ব্রাজিলে। এছাড়া তৃতীয় অবস্থানে থাকা রাশিয়ায় ৬ লাখ ২৭ হাজার ৬৪৬ জন, চতুর্থ অবস্থানে থাকা ভারতে ৫ লাখ ২৯ হাজার ৫৭৭ জন ও পঞ্চম অবস্থানে থাকা যুক্তরাজ্যে ৩ লাখ ১০ হাজার ২৫০ জনের শরীরে এ ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে।
এ হিসেবে শীর্ষ দশে রয়েছে যথাক্রমে স্পেন (শনাক্ত ২ লাখ ৯৫ হাজার ৫৪৯ জন), পেরু (শনাক্ত ২ লাখ ৭৫ হাজার ৯৮৯ জন), চিলি (শনাক্ত ২ লাখ ৬৭ হাজার ৭৬৬ জন), ইতালি (শনাক্ত ২ লাখ ৪০ হাজার ১৩৬ জন) ও ইরান (শনাক্ত ২ লাখ ২০ হাজার ১৮০ জন)।
১ লাখ ২৮ হাজার ১৫২ জনের মৃত্যু নিয়ে এ হিসেবে সবার ওপরে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ব্রাজিলে মারা গেছেন ৫৭ হাজার ১০৩ জন। এছাড়া তৃতীয় অবস্থানে থাকা যুক্তরাজ্যে ৪৩ হাজার ৫১৪ জন, চতুর্থ অবস্থানে থাকা ইতালিতে ৩৪ হাজার ৭১৬ জন ও পঞ্চম অবস্থানে থাকা ফ্রান্সে ২৯ হাজার ৭৭৮ জনের প্রাণ কেড়েছে ভাইরাসটি। এছাড়া স্পেনে ২৮ হাজার ৩৪১ জন (ষষ্ঠ), মেক্সিকোতে ২৬ হাজার ৩৮১ জন (সপ্তম), ভারতে ১৬ হাজার ১০৩ জন (অষ্টম), ইরানে ১০ হাজার ৩৬৩ জন (নবম) ও বেলজিয়ামে ৯ হাজার ৭৩২ জনের (দশম) মৃত্যু হয়েছে।
আরো উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মৃত্যু হয়েছে যেসব দেশে – পেরুতে ৯ হাজার ১৩৫ জন, জার্মানিতে ৯ হাজার ২৬ জন, রাশিয়ায় ৮ হাজার ৯৬৯ জন, কানাডায় ৮ হাজার ৫১৬ জন, নেদারল্যান্ডসে ৬ হাজার ১০৫ জন, চিলিতে ৫ হাজার ৩৪৭ জন, সুইডেনে ৫ হাজার ২৮০ জন, তুরস্কে ৫ হাজার ৮২ জন, চীনে ৪ হাজার ৬৩৪ জন, ইকুয়েডরে ৪ হাজার ৪২৪ জন, পাকিস্তানে ৪ হাজার ৩৫ জন, কলম্বিয়ায় ২ হাজার ৯৩৯ জন, ইন্দোনেশিয়ায় ২ হাজার ৭২০ জন, মিসরে ২ হাজার ৭০৮ জন, দক্ষিণ আফ্রিকায় ২ হাজার ৪১৩ জন, সুইজারল্যান্ডে ১ হাজার ৯৬২ জন, আয়ারল্যান্ডে ১ হাজার ৭৩৪ জন, বাংলাদেশে ১ হাজার ৬৯৫ জন, ইরাকে ১ হাজার ৬৬০ জন, রোমানিয়ায় ১ হাজার ৫৮৯ জন, পর্তুগালে ১ হাজার ৫৬১ জন, সৌদি আরবে ১ হাজার ৫১১ জন, পোল্যান্ডে ১ হাজার ৪৩৫ জন, ফিলিপাইনে ১ হাজার ২৩৬ জন, আর্জেন্টিনায় ১ হাজার ২০৭ জন, ইউক্রেনে ১ হাজার ১১০ জন।
জেএম/রাতদিন