‘কুড়িগ্রাম কেন দারিদ্রের শীর্ষে?’

‘কুড়িগ্রাম জেলা কেন দারিদ্রের শীর্ষে’ তা জান‌তে চে‌য়ে মানববন্ধন করেছে রেল-নৌ, যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটি কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ।

সোমবার, ২৭ মে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। এতে কুড়িগ্রাম জেলার বাসিন্দা ছাড়াও রাষ্ট্রচিন্তা, মৌলিক বাংলাসহ বেশ কিছু সংগঠন এতে সংহতি জানায়।

মানববন্ধনে বক্তারা দাবি করেন, ভারতের ৩-৪ টি জেলার সীমান্ত কুড়িগ্রামের সাথে। এই ভৌগোলিক কারণে কুড়িগ্রাম জেলা ভারতের সেভেন সিস্টার্সের কারখানায় পরিণত হতে পারত। ব্রহ্মপুত্রে প্রাপ্ত খনিজ দিয়েই বেশ কিছু ভারী শিল্প গড়ে তোলা সম্ভব ছিল। সম্ভব ছিল নদনদীময় কুড়িগ্রাম জেলাকে পর্যটন নগরীতে পরিণত করা।

বক্তারা আরো বলেন, ব্রহ্মপুত্রসহ অন্যান্য নদনদীগুলোর চরে যেসব সুস্বাদু বাদাম ও কালাই পাওয়া যায়, তা সরাসরি ভোক্তার হাতে পৌঁছালে আর দরিদ্র মানুষ থাকার কথা না।

ছবি : সংগৃহীত

তারা বলেন, নদনদীর তীরে বিস্তীর্ণ অনাবাদী জমিতে কয়েক হাজার মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব, যা দিয়ে পুরো উত্তরবঙ্গের বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণ করা সম্ভব। উল্টো কুড়িগ্রামের মানুষ ক্ষুদ্র ঋণের জাল ছিঁড়তে নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে।

অর্ধ যুগ ধরে ঢাকা টু চিলমারী রুটে ভাওয়াইয়া এক্সপ্রেস, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ থেকে রৌমারী পর্যন্ত এবং কুড়িগ্রাম থেকে সোনাহাট স্থলবন্দর পর্যন্ত রেল লাইন সম্প্রসারণের দাবিতে আন্দোলন করে এলেও তাদের আগেই অনেক জেলায় নতুন রেল লাইন ও একাধিক আন্তঃনগর ট্রেন পেয়েছে। যোগ করে তারা।

সংগঠনের সভাপতি কলামিস্ট নাহিদ হাসানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রাকিব মুহাম্মদ হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, জুরাইনের পরিবেশকর্মী মিজানুর রহমান, ঢাকাস্থ কুড়িগ্রাম সমিতির মহাসচিব সাইদুল আবেদীন ডলার, কুড়িগ্রাম সোসাইটি ঢাকার মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার শাহিন চিশতি, সংগঠনের নির্বাহী সভাপতি রাইহান কবির রনো, সাংগঠনিক সম্পাদক জহির রায়হান ও কাজী মাহাদী হাসান ফারুকী, দপ্তর সম্পাদক মারুফ আহমেহ প্রমুখ।

এবি/রাতদিন