গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে স্ত্রী খাতিজা বেগমকে হত্যার দায়ে স্বামী মাইদুল ইসলাম মিঠুকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার, ২ ডিসেম্বর সকালে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক দীলিপ কুমার ভৌমিক এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মাইদুল ইসলাম মিঠু গাইবান্ধা সদর উপজেলার নারায়নপুর গ্রামের মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে।
মামলার এজাহারে জানা যায়, ২০০৬ সালে গাইবান্ধার সদর উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে মাইদুল ইসলাম মিঠুর সঙ্গে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ফুলহার গ্রামের আব্দুর রেজ্জাকের মেয়ে খাদিজা বেগমের বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। দাম্পত্য কলহের জেরে খাদিজা বেগমের ও মাইদুল ইসলাম মিঠুর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে।
পরবর্তীতে গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মধ্যস্থতায় সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তাদের মধ্যে আবারো বিয়ে হয়। পুনরায় বিয়ের পর খাদিজা বেগম স্বামী-সন্তান নিয়ে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ফুলহার গ্রামে ফুফু রানু বেগমের বাড়িতে বসবাস করতো। ফুফু রানু বেগম সপরিবারে রংপুর বসবাস করতো।
দ্বিতীয়বার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেও খাদিজা বেগম ও মাইদুল ইসলাম মিঠুর মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকত। ২০১৭ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে দাম্পত্য কলহের জেরে খাতিজাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে স্বামী মাইদুল ইসলাম মিঠু। পরদিন সকালে বিছানার উপর গলায় ওড়না জড়ানো খাতিজার লাশ দেখতে পায় পরিবারের লোকজন। ওই দিন খাতিজার বাবা আব্দুর রেজ্জাক বাদী হয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানায় মামলা করেন। দীর্ঘ শুনানি ও স্বাক্ষী প্রমাণ শেষে আদালত আজ এ রায় দেয়।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফারুক আহম্মেদ প্রিন্স বলেন, এ মামলায় আসামি নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই আদালত আসামিকে ফাঁসির দণ্ডাদেশ দিয়েছে। এ রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছে।
খাতিজার বাবা আব্দুর রেজ্জাক রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, উচ্চ আদালত এ রায় বহাল রেখে আসামির ফাঁসি দ্রুত কার্যকর করবে।
এআই/রাতদিন