বাঁচাতে চায় মনি, চিকিৎসা করতে টাকার প্রয়োজন

হাওয়া মনি (৪) বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। ফুটফুটে এই শিশুটির ২ বছর আগে কিডনি রোগ ধরা পড়ে। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম হাওয়া মনির বাবা রাজমিস্ত্রির কাজ করে ২ বছর ধরে তার চিকিৎসা করছেন। এতে তিনি প্রায় সর্বস্ব খুইয়েছেন।

হাওয়া মনি লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার বাড়াইপাড়া গ্রামের হযরত আলী ও মনিরা দম্পতির একমাত্র সন্তান।

হাওয়া মনির মা মনিরা বেগম বলেন, জন্মের পরে ভালোই ছিলো হাওয়া মনি। তার বয়স যখন ২ বছর তখন হঠাৎ অসুস্থ হয় সে। এরপর হাওয়া মনিকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে ডাক্তার পরীক্ষা নিরীক্ষা করে বলেন কিডনি সমস্যা। তবে চিকিৎসা করালে সুস্থ হয়ে যাবে। তখন থেকে তার চিকিৎসা করাতে করাতে আমরা নিঃস্ব প্রায়। ৫ সদস্যের পরিবার চালাতে হিমশিম খেতে হয়। তার ওপর আবার মেয়ের চিকিৎসা। এখন তার বাবা বাধ্য হয়ে ঢাকায় গিয়ে রাজমিস্ত্রির কাজ করছেন মেয়েকে সুস্থ করার আশায়। জানি না আমার মেয়ের চিকিৎসা করে সুস্থ করতে পারবো কিনা।

হাওয়া মনির দাদি হাজেরা বেগম বলেন, ২ বছর যাবত হাতীবান্ধায় ডা. মোস্তফা জামানের চিকিৎসা নিচ্ছি। এখন ডাক্তার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুরে নিতে বলতেছেন। আমরা অত্যন্ত গরিব দিন আনি দিন খাই। রংপুরে নিয়ে চিকিৎসা করাতে অনেক টাকার প্রয়োজন। তাই তিনি সমাজের বিত্তবানদের কাছে আকুতি জানিয়েছেন হাওয়া মনির চিকিৎসায় এগিয়ে আসার জন্য।

ডা. মোস্তফা জামান বলেন, উন্নত চিকিৎসা করালে শিশুটিকে সুস্থ করা সম্ভব। তাই আমি শিশুটিকে রংপুরে নিয়ে যেতে বলেছি। উন্নত চিকিৎসা না হওয়ায় তার পেটসহ পুরো শরীর ফুলে যাচ্ছে।

হাতীবান্ধা উপজেলা চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুন বলেন, হাওয়া মনির পরিবার অত্যন্ত গরিব। তারপরও ২ বছর ধরে তারা অনেক কষ্ট করে তার চিকিৎসা চালিয়েছে। এখন তার চিকিৎসা করা পরিবারের জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে গেছে। তাই সমাজের বিত্তবানদের হাওয়ার চিকিৎসায় এগিয়ে আসার আহ্বান করছি।

এনএ/রাতদিন