বুড়িমারী স্থলবন্দর আধুনিকায়নে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ, বসবে স্ক্যানার, হবে প্রশাসনিক ভবন

উত্তরাঞ্চলের বুড়িমারী, হিলি ও বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম পর্যবেক্ষণে তদারকি ও নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে শতভাগ পণ্য, এমনকি মানুষের শরীর পর্যন্ত স্ক্যান করার পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। সেই সাথে এর অবকাঠামোগত উন্নয়নের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

গত মঙ্গলবার ‘বুড়িমারী, হিলি ও বাংলাবান্ধা এলসি স্টেশনের ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্প একনেকে অনুমোদনের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমন নির্দেশনা দিলে, এনবিআর চেয়ারম্যান স্ক্যানার বসাতে আলাদা প্রকল্প নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় পরে অবকাঠামো নির্মাণের প্রকল্পটিসহ মোট আটটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী।

একনেক বৈঠক পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক শামসুল আলম বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ, এসব স্থলবন্দরে মালপত্র স্ক্যান করা এবং বডি পর্যন্ত স্ক্যান করার ব্যবস্থা থাকতে হবে। বৈঠকে উপস্থিত এনবিআর চেয়ারম্যান বলেছেন, এই ব্যবস্থা এই প্রজেক্টে নাই। তবে রাজস্ব ব্যবস্থা থেকে আলাদা একটা প্রজেক্ট এনে এই (স্ক্যানার) ব্যবস্থা করা হবে।”

সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী মান্নান জানান, প্রকল্পটির মাধ্যমে স্থলবন্দরগুলোর ভৌত অবকাঠামো ও ভৌত সুবিধা বাড়ানো হবে। এর মাধ্যমে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম আরও মনিটরের মাধ্যমে শুল্ক আদায় বৃদ্ধি করে অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আহরণ জোরদার করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, প্রকল্পের আওতায় স্থলবন্দর তিনটিতে প্রশাসনিক, আবাসিক, সিপাই ব্যারাক ও ডরমিটরি ভবন নির্মাণ করা হবে।

জেএম/রাতদিন

মন্তব্যসমূহ প্রদর্শন করা হবে (8)