ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছেন ‘বাংলাদেশে পাকিস্তানের গনহত্যা তাদের ঘৃণিত চেহারার মুখোশ খুলে দিয়েছে’।
তিনি আরো বলেন ‘১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সেই সময় ছিল যখন পাকিস্তানের সেনাবাহিনী বাংলাদেশের নিরাপরাধ নাগরিকদের ওপর অত্যাচার করছিল, জুলুম করছিল, হত্যা করছিল। মা-বোনেদের উপর অমানুষিক অত্যাচার করছিল। পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর এই কুকীর্তি, সারা পৃথিবীতে পাকিস্তানের ঘৃণিত চেহারার মুখোশ খুলে দিয়েছিল।’
শনিবার, ১৪ নভেম্বর রাজস্থানের জয়সলমেরে দিওয়ালির ভাষণ দেওয়ার সময় তিনি বাংলাদেশে হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীর নৃশংসতার এসব কথা তুলে ধরেন।
মোদি বলেন, ‘১৯৭১ সালের যুদ্ধের এবং লঙ্গেওয়ালার যুদ্ধের ৫০ বছর পূর্তি হতে চলেছে, কয়েক সপ্তাহ পরেই আমরা এর ৫০ বছর, এই গৌরবপূর্ণ সোনালী অধ্যায়ের সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করব। সেই প্রেক্ষিতে আজ আমার এখানে আসার ইচ্ছে হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের ভয়ঙ্কর রূপ বিশ্বের সামনে প্রকাশ পাচ্ছিল। এসব কিছু থেকে বিশ্বের নজর সরানোর জন্য পাকিস্তান আমাদের দেশের (ভারতের) পশ্চিম সীমান্তে হামলা করে। পাকিস্তান ভেবেছিল ভারতের পশ্চিম সীমান্তে হামলা করে বিশ্বকে ভারত এই করেছে, সেই করেছে বলে কান্না জুড়ে দেবে, আর তাতে বাংলাদেশে তাদের সমস্ত পাপ ধুয়ে যাবে। কিন্তু আমাদের সৈনিকরা তাদেরকে যে উপযুক্ত জবাব দিয়েছিল, তাতে পাকিস্তানকে নাস্তানাবুদ হতে হয়েছিল।’
মোদি আরো বলেন, ‘গোটা দেশ এই বীরেদের বিজয়গাঁথা শুনে নিজেদের গৌরবান্বিত অনুভব করবেন। তাঁদের সাহস বাড়বে, নতুন এবং আগামী প্রজন্ম এই পরাক্রম থেকে প্রেরণা নেয়ার জন্য এটি তাঁদের জীবনে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ এনে দেবে।’
আরআর/রাতদিন