রংপুর নগরীর মনোহর বাবুপাড়া এলাকার সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া পূর্ণিমা রানী রায় ওরফে সুন্দরী আত্নহত্যা করেনি। তাকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার পর ওড়না দিয়ে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। এ ঘটনার সাথে জড়িত অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
চাঞ্চল্যকর ‘আত্নহত্যার’ এই রহস্য উদঘাটন করেছে রংপুর মেট্রোপলিটনের হাজিরহাট থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন সুরজিত ও তার সহযোগী শ্যামল।
আজ রোববার, ৯ আগস্ট দুপুরে রংপুরের উপ- পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) কাজী মুত্তাকিন ইবনু মিনানের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তিনি। এ সময় সেখানে ছিলেন উপ-পুলিশ কমিশনার(অপরাধ) মো. শহিদুল্লাহ কাওছার পিপিএম।
সংবাদ সন্মেলনে জানানো হয়, মনোহর বাবুপাড়া গ্রামের ফটিক চন্দ্র রায়ের মেয়ে ও মনোহর উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী পূর্ণিমা রানীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে সুরজিত চন্দ্র রায়ের। সম্পর্কের এক পর্যায়ে পূর্ণিমা অন্তসত্তা হয়ে পরে।
পূর্ণিমার বাবা-মা ঢাকায় থাকার সুবাদে গত ২৫ জুলাই সকালে সুরজিত ওই বাড়িতে এসে আবারও শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। এসময় সুরজিতকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে পূর্ণিমার সাথে কথাকাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে ঘরের তীরের সাথে পূর্ণিমার মরদেহ ঝুলিয়ে পালিয়ে যায় সুরজিত। তবে এসময় তার মোবাইলটি ওই ঘরে ফেলে যায়। পরে আবার কৌশলে মোবাইলটি সেখান থেকে নিয়ে তার আতœীয় গ্রেপ্তারকৃত শ্যামলের কাছে রেখে দেয়।
এদিকে ঘটনার দিন পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে সুরতহাল করার সময় ধর্ষণ ও অন্তসত্তা হওয়ার আলামত পায়। এ ঘটনায় নিহতের পিতা ফটিক চন্দ্র রায় বাদি হয়ে সুরজিতকে আসামী করে রংপুর মেট্রোপলিটন হাজীরহাট থানায় মামলা করে।
পুলিশের অভিযানের এক পর্যায়ে সুরজিত আদালতে আতœসর্মন করে। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক শাহ আলম আদালতে রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত তাকে দুই দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন। গতকাল শনিবার সে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।
জবানবন্দিতে সুরজিত জানায়, সাত মাস ধরে পূর্ণিমার সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক চলেছে।
এবি/রাতদিন