‘লালমনিরহাটের সেই শিক্ষার্থীর দেহে করোনাভাইরাস নেই’

জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেছেন, তাপমাত্রার সঙ্গে ভাইরাসের কোনো সম্পর্ক নেই। সবসময় সাবধানতা অবলম্বন করলে যেকোনো ভাইরাস মোকাবিলা করা সম্ভব। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তথ্য ও সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়ার কথাও জানান তিনি।

আজ মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মহাখালীতে অবস্থিত আইইডিসিআর’র সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।

তিনি বলেন, মানের তারতম্য থাকলেও দেশের হাসপাতালগুলোতে করোনাভাইরাসের চিকিৎসার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। মহাখালী সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল, কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল ও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে দেওয়া হবে মূল চিকিৎসা।

সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশি একজন নাগরিকের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। তাকে সেখানে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও সিঙ্গাপুরকে বিশেষ নজরে রেখেছে বলে জানান ফ্লোরা।

ফ্লোরা বলেন, এখন পর্যন্ত দেশে ৫৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। কারও মধ্যেই করোনাভাইরাসের জীবাণু পাওয়া যায়নি।

লালমনিরহাটের সেই শিক্ষার্থীর দেহে করোনাভাইরাস নেই: সংবাদ সম্মেলনে ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালে ভর্তি হওয়া চীনফেরত শিক্ষার্থীর মধ্যে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাস পাওয়া যায়নি।

তিনি বলেন, ‘ওই শিক্ষার্থীর কিডনীর সামান্য জটিলতার কারণে পায়ে ব্যাথার সৃষ্টি হওয়ায় গতকাল সোমবার পর্যন্ত তিনি হাঁটতে পারেনি। তবে আজ তিনি হাঁটাচলা করতে পারছেন।’

ফ্লোরা বলেন, ‘তিনি যেহেতু চীন থেকে ফিরেছেন তাই তাকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে’।

চীন ফেরত ওই শিক্ষার্থী ইয়াংহু বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতেন। রবিবার সকাল ৭ টায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে নামেন। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। সন্ধ্যায় তিনি তার নিজ বাড়ি কালীগঞ্জে আসেন। পরে  শারীরিক দুর্বলতা দেখা দিলে রাতেই তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন বিভাগের করোনা ইউনিটে ভর্তি করা হয়।

এবি/রাতদিন