নীলফামারীর সৈয়দপুরে বিয়ের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। নির্যাতনের শিকার ১৯ বছর বয়সী ওই কলেজ ছাত্রী নিজে বাদী হয়ে গত বুধবার রাতে মামলাটি দায়ের করেন।
আজ বৃহস্পতিবার, ৩১ মার্চ ধর্ষণে সহায়তার দায়ে দুইজনকে আটক করে সৈয়দপুর থানা পুলিশ।
এরা হলেন, সৈয়দপুর প্লাজার ফুড প্লেস রেস্টুরেন্টর স্বত্তাধিকারী মাহিন আহমেদ প্রান্ত (২২) এবং দুবাই রেস্টুরেন্টের মালিক মো. ওয়াহিদক (২৮)।
এর আগে মামলায় দায়েরের পর পরই মুল অভিযুক্ত আসামী জায়েদ আলী জয়কে (২১) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মামলার আরজি সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের চৌমুহনীবাজার সংলগ্ন বাড়াইশালপাড়ার মো. গাজীউর রহমানের ছেলে জায়েদ আলী জয়। সৈয়দপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে অধ্যয়নকালে এক সনাতন ধর্মাবলম্বী ছাত্রীর সাথে পরিচয় হয় তার।
পরিচয়ের সূত্র ধরে ওই কলেজ ছাত্রীকে প্রথমে প্রেমের প্রস্তাব দেয় জয়। কিন্তু ওই ছাত্রী তা প্রত্যাখ্যান করায় তাকে নানাভাবে হয়রানি করতে থাকে।
এসময়ই ২০১৮ সালের দিকে মেয়েটিকে হিন্দু ধর্ম হতে ধর্মান্তরিত করে বিয়ের মিথ্যে প্রলোভন দেখিয়ে সম্পর্ক তৈরী করে। ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে ওই ছাত্রীকে জরুরী কথা আছে বলে সৈয়দপুর প্লাজায় আপন রেস্টুরেন্টের ডেকে নেয় যুবক জয়। সেখানে তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
এরপর বিভিন্ন সময়ে নানা স্থানে নিয়ে গিয়ে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ করতো জয়। সর্বশেষ গত ২০ মার্চ ওই ছাত্রীকে সৈয়দপুর প্লাজার তৃতীয়তলায় ফুড প্লেস রেস্টুরেন্ট নিয়ে ধর্ষণ করে ওই যুবক।
এসময় সে প্রতিশ্রুতি দেয় যে, ২৬ মার্চ তাকে সনাতন ধর্ম হতে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করবে। কিন্তু ২৬ মার্চ মোবাইল ফোনে তাকে বিয়ে করা সম্ভব নয় বলে সাফ জানিয়ে দেয় জয়।
এ অবস্থায় নির্যাতনের শিকার কলেজ ছাত্রী নিজে বাদী হয়ে গত ৩০ মার্চ জয়ের বিরুদ্ধে সৈয়দপুর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
গ্রেপ্তারকৃত মাহিন আহমেদ সৈয়দপুর শহরের চাঁদনগর এলাকার নুর মোহাম্মদ এবং মো. ওয়াহিদ শহরের মুন্সিপাড়া তেজপাতা গাছ মোড় এলাকার মো. জুম্মানের ছেলে।
সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবুল হাসনাত খান এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা দায়েরও তিন আসামীকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।