রিজেন্ট হাসপাতাল ও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমকে চার মামলায় ২৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির এমডি মাসুদ পারভেজকে আলাদা তিন মামলায় ২১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।
রোববার, ২৬ জুলাই রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এর আগে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ঢাকার সিএমএম আদালতে তাদের হাজির করে চার মামলায় ১০ দিন করে মোট ৪০ দিন রিমান্ড আবেদন করে। পরে উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত প্রতিটি মামলায় সাত দিন করে সাহেদ ও পারভেজের মোট ২৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আদালত সূত্র বলছে, গ্রেফতারের পর সাহেদ ও পারভেজের বিরুদ্ধে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানার পৃথক তিন মামলায় এবং উত্তরা পূর্ব থানার এক মামলা হয়। শুনানির সময় সাহেদ নিজে আদালতে কথা বলেন। রাষ্ট্রপক্ষের ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান সরকারি কৌঁসুলি আবদুল্লাহ আবু আদালতকে বলেন, সাহেদ একজন প্রতারক। ১০ হাজার করোনা টেস্টের মধ্যে ছয় হাজার করোনা টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট দিয়েছেন আসামি সাহেদ। সাহেদ মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছেন।
প্রসঙ্গত, চুক্তি ভঙ্গ করে করোনা রোগীদের থেকে বিল আদায়, টেস্ট না করে ভুয়া সনদ দেওয়াসহ নানা অভিযোগে গত ৬ জুলাই র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। মঙ্গলবার (৭ জুলাই) রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা শাখায় আবার অভিযান চালিয়ে বন্ধ করে দেয় র্যাব। পরের দিন হাসপাতালটির মিরপুর শাখা সিলগালা করে।
প্রতারণার অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদকে এক নম্বর আসামি করে ১৭ জনের নামে মামলা করা হয়। এরপর থেকে সাহেদ পলাতক ছিলেন। বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তার সহযোগীসহ ১০জনকে আটক করা হয়েছে।
এনএ/রাতদিন