গেল বছরই সড়ক নিয়েছে ‘৭২২১ প্রাণ’


২০১৮ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় ১ হাজার ২৫২ জন চালক ও শ্রমিক, ৮৮০ শিক্ষার্থী, ২৩১ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ৭৮৭ নারী, ৪৮৭ শিশু, ১৯২ জন রাজনৈতিক নেতাকর্মী , ১০৬ জন শিক্ষক, ৩৪ জন সাংবাদিক, ৩৩ জন চিকিৎসক, ৯ জন প্রকৌশলী, ও ২ জন আইনজীবী হতাহত হয়েছেন

২০১৮ সালের ‘নিরাপদ সড়ক আন্দোলন’ হয়তো অনেকেরই মনে আছে। ঢাকার রাজপথে শিক্ষার্থীদের ওই আন্দোলন দেশে-বিদেশে বেশ আলোচনার ঝড় তোলে। অবশেষে সরকারের উদ্যোগে সেই আন্দোলন ছেড়ে ক্লাসে ফিরে শিক্ষার্থীরা। কিন্তু সড়কে কি মৃত্যুর মিছিল থেমেছে?

না, থামেনি। কারণ এবার তো ঘুমন্ত শ্রমিকদের উপরই ট্রাক উঠছে। আর এমনি ঘটনাই শুক্রবার ২৫ জানুয়ারি কুমিল্লায় প্রাণ গেছে ১৩ জন শ্রমিকের। যাদের সবার বাড়ি নীলফামারী জেলার জলঢাকায়। ফলে দুর্ঘনায় নিহতের ঘটনা ফের ভাবিয়ে তুলছে।

কারণ ২০১৮ সালে দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় ৭ হাজার ২২১ জন নিহত হয়েছেন বলে তথ্য ওঠে এসেছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির এক বার্ষিক প্রতিবেদনে। এতে ৫ হাজার ৫১৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ১৫ হাজার ৪৪৬ জন।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন ।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর সড়ক দুর্ঘটনায় ১ হাজার ২৫২ জন চালক ও শ্রমিক, ৮৮০ শিক্ষার্থী, ২৩১ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ৭৮৭ নারী, ৪৮৭ শিশু, ১৯২ জন রাজনৈতিক নেতাকর্মী , ১০৬ জন শিক্ষক, ৩৪ জন সাংবাদিক, ৩৩ জন চিকিৎসক, ৯ জন প্রকৌশলী, ও ২ জন আইনজীবী হতাহত হয়েছেন।

সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানে । ২৮ দশমিক ৬৮ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটেছে ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানে, মোটরসাইকেলে ২৫ দশমিক ৩০ শতাংশ, বাসে ১৮ দশমিক ৯২, অটোরিকশায় ৯ দশমিক ৬১, কার জিপ মাইক্রো ৭ দশমিক ৯৩, নছিমন করিমন ৫ দশমিক ৮০ এবং ব্যাটারিচালিত রিকশা ৩ দশমিক ৭২ শতাংশ।

এর মধ্যে গাড়িচাপায় ৪১ দশমিক ৫৩ শতাংশ, ২৯ দশমিক ৭২ মুখোমুখি সংঘর্ষ আর ১৬ দশমিক ১৮ শতাংশ খাদে পড়ে।

এমআরডি- ২৫/০১/২০১৯