রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে ভর্তি চীন ফেরত শিক্ষার্থী তাশবিদ হোসেনের (২৫) বুকে সামান্য ব্যথা ছাড়া আপাতত কোনো সমস্যা নেই। তবে জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইডিসিআর) প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
রোববার, ৯ জানুয়ারি দুপুর ১২টার দিকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান রমেক হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. দেবেন্দ্রনাথ সরকার।
তিনি আরও জানান, ওই শিক্ষার্থীর চিকিৎসায় তার নেতৃত্বে ১২ সদস্যদের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।
এর আগে শনিবার, ৭ জানুয়ারি রাতে করোনাভাইরাস সন্দেহে রমেক হাসপাতালে ভর্তি চীন ফেরত ওই শিক্ষার্থীর রক্ত, ঘাম ও লালা সংগ্রহ করে ফিরে গেছে আইডিসিআর-এর ল্যাব টেকনিশিয়ানরা।
শনিবার দুপুরে শ্বাসকষ্ট নিয়ে রমেক হাসপাতালে ভর্তি হন তাশবিদ হোসেন। হাসপাতালে ভর্তির পরপরই তাকে আইসুলেশন ওয়ার্ডে নেয়া হয়।
এ সম্পর্কিত আগের খবর এই লিংকে
রমেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মোকাদ্দেম হোসেন জানান, গত ২৯ জানুয়ারি চীন থেকে বাংলাদেশে আসেন তাশবিদ হোসেন। বিমানবন্দরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তিনি নীলফামারীর ডোমারের বাড়িতে যান। হঠাৎ করে শনিবার সকালে শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হলে দুপুরে তাকে হাসপাতালে আনা হয়।
নীলফামারীর ডোমার উপজেলার জোড়াবাড়ি ইউনিয়নের মির্জাগঞ্জের আলতাব হোসেনের ছেলে তাশবিদ হোসেন চীনের আনহুই প্রদেশের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে লেখাপড়া করেন। করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর গত ২৯ জানুয়ারি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে আসেন তিনি।
সেখানকার মেডিকেল পরীক্ষায় তার দেহে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া না গেলেও নীলফামারীর সিভিল সার্জনের তত্ত্বাবধানে তাকে বাড়িতে রাখা হয়। শনিবার সকালে হঠাৎ শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হলে দুপুরে তাকে রমেক হাসপাতালে আনা হয়।