ভারতের লোকসভা নির্বাচনে স্পেশাল পুলিশ অবজার্ভার বিবেক দুবে ভোট পর্যবেক্ষন করে দাবি করেছেন প্রথম দফায় শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে। অন্যদিকে ‘ছাপ্পা’ (জাল) ভোট, ইভিএম ভাংচুর, কেন্দ্র দখল করে ভোট গ্রহনের অভিযোগ উঠেছে কোচবিহার আসনে।
ভোটের শুরুতে দিনহাটার বোরোসোলবাড়ি অঞ্চলে সিংহীবাড়ি এলাকায় একটি বুথে ইভিএম ভাঙচুর করা হয় । জানা গেছে, ২১২ নম্বর ওই বুথে ৬০ শতাংশ ভোট পড়েছিল। আর তারপরই গন্ডগোলের সূত্রপাত।
তৃণমূলের সন্ত্রাসীরা ইভিএম ভাঙচুর করেছে বলে দাবি করেছেন কোচবিহারের বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক। জেলা শাসকের (ডিএম) কার্যালয়ে ১৫০ বুথে পুনরায় ভোটগ্রহনের দাবীতে ভোটের পরপরই ‘ধর্না’য় (অনশন) বসেন ওই প্রার্থী। অবশ্য বাংলাদেশ সময় রাত ৯ টার দিতে অনশন তুলে নেন নিশীথ প্রামানিক।
তৃণমূল নেতা রবীন্দ্রনাথ ঘোষ পাল্টা দাবী করে বিজেপিকে এই সন্ত্রাসের জন্য দায়ী করেছেন। পাশাপাশি ওই বুথে পুনর্নির্বাচনেরও দাবি জানিয়েছে তৃণমূল।
বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার দাবি করেছেন, দিনহাটায় ৪০ বুথে ভোট বলে কিছু হয়নি। শীতলকুচিতে ১৫০ বুথে ভোটের নামে প্রহসন হয়েছে বলেও দাবী করেন তিনি।
দিনহাটার ভূতকুড়ির ১৪৭ নম্বর বুথে তৃণমূলের বিরুদ্ধে কেন্দ্র দখল করে ভোট গ্রহনের অভিযোগ ওঠে। এর জেরে বেশ কিছুক্ষণ ভোটগ্রহণ বন্ধ থাকে ।
অন্যদিকে, বক্সিরহাটে ‘ছাপ্পা’ (জাল) ভোটের অভিযোগ ওঠে। জেনারেল অবজার্ভারের নেতৃত্বে দ্রুত বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে।
পাশাপাশি, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারের একাধিক বুথে ইভিএম বিভ্রাটের খবর পাওয়া গেছে।
রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সঞ্জয় বসু কিছু কেন্দ্রে অনিয়মের কথা স্বীকার করেছেন। তিনি জানান, শীতলকুচিতে মহিলা ভোটারদের বাধা দেওয়ার খবর এসেছিল। রসমন্ডাতে একটি বিচ্ছিন্ন অশান্তির খবর এসেছিল তবে সকল ক্ষেত্রেই তাৎক্ষনিকভাবে পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দেয়।
প্রসংগত, ভারতে প্রথম দফায় দেশের ২০টি রাজ্যের ৯১টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের রয়েছে কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ার এই দুই আসন। এতে কোচবিহারে ভোট পড়েছে ৮১.৯৪% এবং আলিপুরদুয়ারে মোট ৮১.০৫% ভোট পড়েছে৷