খুব কাছে গিয়েও জয়ের মুখ দেখা হলো না। ভারতকে হারিয়ে আফগানিস্তানের মহাকাব্য লেখাটা অসম্পূর্ণ রয়ে গেল। মোহাম্মদ শামির শেষ ওভারের হ্যাটট্রিকে শেষ পর্যন্ত ১১ রানের জয়ে হারের মুখ থেকে জয় ছিনিয়ে নিল বিরাট কোহলির টিম ইন্ডিয়া।
এরই ফলে দারুণ একটি মাইলফলক গড়লো ভারত। বিশ্বকাপে নিজেদের ৫০তম জয় তুলে নিল দলটি।
শনিবার ,২২ জুন বিশ্বকাপের এই ম্যাচে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নামে ভারত। তবে ব্যাটিংয়ে নেমেই টের পায় গত পাঁচ ম্যাচে বাজে খেলে হারা আফগানদের শক্ত বোলিং ইউনিটকে।
প্রতিপক্ষের বোলারদের তোপে, বিশেষ করে স্পিনারদের একের পর এক সাফল্যে কোনঠাসা ভারত শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভার ব্যাট করতে পারলেও ৮ উইকেট হারিয়ে ২২৪ রানের বেশি করতে পারেনি।
তবে চেতন শর্মার পর দ্বিতীয় ভারতীয় হিসেবে হ্যাটট্রিক করা শামির তাণ্ডবে ইনিংসের এক বল বাকি থাকতে ২১৩ রানে গুটিয়ে যায় আফগানিস্তান। যদিও মোহাম্মদ নবীর হাফসেঞ্চুরি শেষ পর্যন্ত স্বপ্ন দেখিয়েছিল দলটিকে।
পুরো ম্যাচে আফগানরা লড়েছে সমানে সমান।
২২৫ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ২০ রানে মোহাম্মদ শামির বলে ওপেনার হজরউল্লাহ জাজাই (১০) বোল্ড হন। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৪৬ রানের পার্টনারশিপ গড়েন গুলবাদিন নাঈব ও রহমত শাহ। তবে হার্দিক পান্ডিয়ার বলে বিজয় শঙ্করকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন আফগান অধিনায়ক নাঈব। ৪২ বলে দুটি চারে ২৭ রান করেন তিনি।
২৯তম ওভারের চতুর্থ ও ষষ্ঠ বলে দুই উইকেট নিয়ে ম্যাচ ভারতের দিকে নিয়ে আনেন পেসার জসপ্রিত বুমরাহ। ডানহাতি এই বোলারের আঘাতে মাঠ ছাড়েন দুই সেট ব্যাটসম্যান রহমত শাহ (৩৬) ও হাশমতউল্লাহ শহিদী (২১)।
পরে যুজভেন্দ্র চাহালের বলে ব্যক্তিগত ৮ রানে বোল্ড হন আসগর আফগান। তবে মোহাম্মদ নবীর সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ৩৬ রানের জুটি গড়া নাজিবুল্লাহ জাদরানকে ২১ রানে ফিরিয়ে ম্যাচ ফের ভারতের দিকে টেনে নেন হার্দিক পান্ডিয়া। আর ১৪ রান করা রশিদ খানকে চাহাল নিজের দ্বিতীয় শিকার বানালে জমে উঠে পুরো ম্যাচ।
শেষ ওভারের তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম বলে নবী, আফতাব আলম ও মুজিব উর রহমানকে আউট করে হ্যাটট্রিক তুলে নেন মোহাম্মদ শামি। সেই সঙ্গে ভারতের জয়ও নিশ্চিত করেন এই ফাস্ট বোলার।
নবী ৫৫ বলে ৪টি চার ও একটি ছক্কায় দলীয় সর্বোচ্চ ৫২ রান করেন। তবে ৪৯তম ওভারে দারুণ বল করা মাত্র ৫ রান দেওয়া ও মোট ১০ ওভারে এক মেডেনসহ ৩৯ রান খরচায় ২ উইকেট পাওয়া বুমরাহ ম্যাচ সেরা হন।
আফগান বোলারদের মধ্যে দারুণ বল করা মোহাম্মদ নবী ও নাঈব সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট পান। তবে সবচেয়ে কৃপণ বোলিংয়ের তকমা জোটে মুজিব উর রহমানের কপালে। ১০ ওভারে মাত্র ২৬ রান দিয়ে একটি উইকেট তুলে নেন এই লেগস্পিনার।
জেএম/রাতদিন