শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন, লালমনিরহাট- কুড়িগ্রামে এসেছে ৭৭ হাজার কম্বল

উত্তরের দুই জেলা লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামে দুদিন ধরে সূর্যের দেখা নেই। বইছে হিমেল হাওয়া। পারদ নেমেছে ১২-১৩ ডিগ্রীর নীচে, এর সাথে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি যুক্ত হয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। চাহিদার তুলনায় কম হলেও এই দুই জেলায় এ পর্যন্ত প্রায় ৭৭ হাজার কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে।

আজ মঙ্গলবার, ১৫ ডিসেম্বর ভোর থেকে ঘন কুয়াশার সঙ্গে ঝরছে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের রেকর্ডকিপার সুবল চন্দ্র রায় গণমাধ্যমকে বলেন, ‘গত তিন দিন ধরে এ অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক পাঁচ থেকে ১৩ দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠা-নামা করছে। দুদিন ধরে সূর্যের দেখা মিলছে না। আজ আবার কুয়াশার সঙ্গে ঝরছে টিপটিপ বৃষ্টি।’

পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র না থাকায় এই দুই অঞ্চলে সব থেকে বেশি বিপাকে পড়েছেন ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমার, তিস্তা ও ধরলা নদীর চরাঞ্চলের হাজারো মানুষ।

লালমনিরহাট এবং কুড়িগ্রাম জেলার ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস সূত্র জানায়, দুই জেলার শীতার্ত মানুষের জন্য এক লাখ ষাট হাজার কম্বলের চাহিদাপত্র সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এর আগে লালমনিরহাটের জন্য ২১ হাজার ৭০০ কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে।

এছাড়াও কম্বল কেনার জন্য ২০ লাখ টাকা ও দুস্থদের জন্য পাঁচ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ এসেছে।

কুড়িগ্রামের নয়টি উপজেলার দুস্থদের জন্য ৩৫ হাজার পিস কম্বল ও নগদ ৫৪ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে।

‘সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে দুস্থদের মধ্যে সরকারি বরাদ্দের কম্বল বিতরণ কার্যক্রম চলছে’ বলে জানিয়েছেন কুড়িগ্রাম জেলার ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার।

লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. হাফিজুর রহমান ঠান্ডাজনিত রোগ থেকে বাঁচতে শিশুদের গরম কাপড় পরাতে এবং বয়স্ক মানুষদের ঘরের বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

জেএম/রাতদিন