হাতীবান্ধায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, সড়ক ভেঙ্গে বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ

তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায়। তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৫০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। রাস্তা ও বাধ ভেঙ্গে বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে লোকালয়ে।

শনিবার, ১৩ জুলাই সকালে তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে নদীর পানি প্রবাহ বেড়ে বিপদসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। তবে সন্ধ্যা ৬ টায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানি কমে বিপদসীমার ২৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর আগে শুক্রবার রাতে পানির প্রবাহ ছিল বিপদসীমার ৪০ সেন্টিমিটার ওপরে। ফলে রাতেই নদী তীরের লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে মাইকিং করা হয়।

পানির তোড়ে উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নে একটি পাকা ও কাঁচা রাস্তা ভেঙ্গে লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়ে। উপজেলার গড্ডিমারী, শিংগীমারী , সিন্দুর্না, ডাউয়াবাড়ি ও পাটিকাপাড়া ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী বিভিন্ন এলাকায় পানি ঢুকে পড়েছে।

গড্ডিমারীর তালেব মোড়ের সড়ক ভেঙ্গে যাওয়ায় ওই এলাকার সঙ্গে উপজেলা শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জলাবদ্ধতা দেখা গেছে।

চরাঞ্চলের রাস্তা ভেঙ্গে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে। গড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন ৫শ’ মিটার রাস্তা ও ষ্টেশন থেকে হাটখোলা সংযোগ সড়কের পাকাকরণ কাজের ৪শ’ মিটার রাস্তা ভেঙ্গে গেছে। ওই রাস্তার মাঝের ব্রীজটিও  ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। যে কোন মুহুর্তে এটি ভেঙ্গে যেতে পারে।

মৎস্য খামারিরাও চরম বিপদে পড়েছে। লোকজন হাঁস মুরগী, গরু, ছাগলসহ নিরাপদ আশ্রয়ের দিকে ছুটছে। বন্যায় অন্তত ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

উপজেলায় এ পর্যন্ত ৪০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন হাতীবান্ধা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) ফেরদৌস আহমেদ। আশ্রয় কেন্দ্রগুলো খোলা রাখা হয়েছে।

জেএম/রাতদিন