অচেতন মা পড়েছিলেন বিছানায়, ৩ বছরের সন্তান তখন মেঝেতে খেলছিল

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম ও তার পিতা ওমর আলী শেখকে হাতুড়িপেটা করে গুরুতর আহত করলেও এ বিষয়ে কিছুই বুঝতে পারেনি তিন বছর বয়সী আদিয়াত। সে মায়ের পাশেই ঘুমিয়েছিল। ওই রাতে একবার ঘুম ভেঙেছিল তার। তবে একটু পর আবার ঘুমিয়ে যায়। সকালে যখন তার মা বিছানায় মুমূর্ষু অবস্থায় অচেতন, তখন ঘুম থেকে উঠে সে মেঝেতে বসে খেলাও করছিল।

ইউএনও’র ছেলে আদিয়াত নিরাপদে আছে, আছে রাজশাহীতে তার দাদা-দাদির কাছে । এসব তথ্য জানিয়েছেন আদিয়াতের মামা শেখ ফরিদ উদ্দিন।

আদিয়াতের মামা শেখ ফরিদ উদ্দিন জানান, আমি যতটুকু আমার বাবার কাছ থেকে শুনেছি তা হচ্ছে, সন্ত্রাসীরা সেদিন আমার বোন ও বাবাকে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে গুরুতর আহত করলেও আমার ভাগ্নের ওপর কোনও হামলা করেনি। আর সে ছোট মানুষ, বুঝতেও পারেনি ওর মায়ের পর এরকম হামলা করা হয়েছে। সেদিন ওই ঘটনার পর তার নাকি ঘুম ভেঙে গিয়েছিল, তবে সে কিছুক্ষণ পর আবার ঘুমিয়ে পড়ে। সে সুস্থ রয়েছে। বর্তমানে রাজশাহীতে তার দাদা-দাদির কাছে রয়েছে।

ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নুর নেওয়াজ বলেন, ঘটনার দিন সকাল ৬টার দিকে উপজেলা প্রশাসনের কর্মচারীদের কাছে থেকে খবর পেয়ে দ্রুত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনে যাই চিকিৎসা দেওয়ার জন্য। এ সময় বাড়িতে উপস্থিত হয়ে দেখেছি ইউএনও মহোদয় একাই বিছানায় অচেতন হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু তার একমাত্র সন্তানটি সে সময় সুস্থ ছিল ও নিচে মেঝেতে বসে সে খেলা করছিল। বাচ্চাটিকে কোনও আঘাত করেনি তারা। একইসঙ্গে বাচ্চাটির রিঅ্যাক্ট করার মতো কোনও বিষয় দেখিনি। সে সুস্থ আছে।

শিশুটির বাবা রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত। তিনি নিজের কর্মস্থলে ছিলেন ঘটনার সময়।

এইচএ/রাতদিন