অপারেশন শেষে আইসিইউতে শাহীন, খোঁজ রাখছেন প্রধানমন্ত্রী

দুর্বৃত্তদের আঘাতে গুরুতর আহত ভ্যান চালাক শাহীনের অস্ত্রপাচার হয়েছে। শনিবার, ২৯ জুন দিবাগত রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে পৌঁছানোর পরপরই ‍শুরু অপারেশনের প্রস্তুতি।

রাত ১২টার দিকে তাকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়। টানা তিন ঘন্টা ধরে অপারেশন শেষে রাত ৩টায় আইসিইউ’তে (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) রাখা হয় শাহীনকে।

কিশোর ওই ভ্যানচালকের চিকিৎসার তদারকি করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা শাহীনের চিকিৎসায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর রাখছেন তাঁর বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়া এবং ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আশরাফুল আলম খোকন।

রাত ১টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে তার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আশরাফুল আলম খোকন ঢামেকে এসে শাহীনের স্বজনের হাতে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে যান। প্রধানমন্ত্রী তার চিকিৎসার পুরো দায়িত্ব নিয়েছেন বলে বাংলানিউজের এক খবরে বলা হয়েছে।

শুক্রবার, ২৮ জুন দুপুরে যশোরের কেশবপুর উপজেলার মঙ্গলকোট গ্রামের হায়দার আলী মোড়লের ছেলে শাহীনের ভ্যান যাত্রীবেশে ভাড়া নেয় দুর্বৃত্তরা। এরপর সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানার ধানদিয়ায় নিয়ে রাস্তার দু’পাশের পাট ক্ষেতের নির্জন স্থানে শাহীনের মাথায় আঘাত করে তার ভ্যান গাড়িটি নিয়ে পালিয়ে যায়। ওখানেই অজ্ঞান হয়ে পড়ে থাকে শাহীন।

পরে জ্ঞান ফিরলে তার কান্নায় স্থানীয়রা এসে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে শনিবার, ২৯ জুন তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

শাহীনের দরিদ্র বাবা সম্প্রতি এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে একটি ব্যাটারি চালিত ভ্যান কিনে দিয়েছিলেন তাকে। আর সেটি চালাতো বাবা-ছেলে মিলে। ওই আয়েই চলছিল তাদের সংসার।

কিশোর শাহীনের রক্তাত্ত ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে বিষয়টি জানাজানি হয়। এ নিয়ে শুরু হয় তীব্র প্রতিক্রিয়া।

এবি/রাতদিন