আইনজীবী নেননি সাহেদ, নতুন করে ৭ দিনের রিমান্ড

অর্থ আত্মসাতের মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম আদালতে রিমান্ড শুনানির সময় বলেছেন, ‘আমি ২০ দিনের রিমান্ড শেষ করে এসেছি। আরো ২৭ দিনের রিমান্ড বাকি আছে। আমি খুবই অসুস্থ, আমার শরীর কতটা খারাপ বলে বুঝাতে পারব না।’

আজ সোমবার, ১০ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েসের আদালতে এ কথা বলেন।

এর আগে তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। পরে দুদকের আইনজীবী রিমান্ডের আবেদন করেন।

তখন বিচারক সাহেদের কাছে জানতে চান,  আপনার আইনজীবী আছে কি না? তখন সাহেদ বিচারককে বলেন, তার কোন আইনজীবী নেই। সে সময় বিচারক বলেন, আপনি কোন আইনজীবী নিবেন কি না? আইনজীবী নিতে পারেন আপনাকে একটু সময় দিচ্ছি।

কিছু সময় পর রিমান্ড আবেদনের ওপর শুনানি শুরু হয়। তখন সাহেদ কোন আইনজীবী না নিয়ে নিজেই রিমান্ড আবেদনের বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, আমি বিশ দিনের রিমান্ড শেষ করে এসেছি। আরো ২৭ দিনের রিমান্ড বাকি আছে। আমি খুবই অসুস্থ, আমার শরীর কতটা খারাপ বলে বুঝাতে পারব না। এখন আপনি বিবেচনা করবেন।

এরপর দুদকের পক্ষে মোশাররফ হোসেন কাজল রিমান্ড শুনানিতে বলেন, রিজেন্ট হাসপাতালে এমআরআই মেশিন ক্রয় করার কথা বলে সাহেদ দুই কোটি টাকা ঋণ নেয়। অথচ তিনি মেশিন ক্রয় করেননি। এমনকি তিনি মেডিক্যাল ইকুইপমেন্ট কেনার কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি। আমরা জানতে পেরেছি, এই ঋণ পেতে তিনি ফারমার্স ব্যাংকের বাবুল চিশতিকে ৩৫ লাখ টাকা ঘুষ দিয়েছেন। এই ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে তিনি কি অনিয়ম করেছেন এবং এর সাথে কারা জড়িত তা জানার জন্য ১০ দিনের রিমান্ড প্রার্থনা করছি।

এ সময় সাহেদ বলেন, এই ব্যাংকে আমার ৫০ লাখ টাকার এফডিআর ছিল। তার বিপরীতে আমি ১ কোটি ২০ লাখ টাকার ঋণ নিই। এটা একটি চলমান লেনদেন ছিল এখানে কোন অনৈতিক কিছু ঘটেনি।  তখন দুদকের আইনজীবী বলেন, পদ্মা ব্যাংকে তার কোন এফডিআর ছিল না। এটা অন্য ব্যাংকে ছিল। এসময় সাহেদ বিরোধিতা করলে আদালতে দুদকের আইনজীবীর সঙ্গে কিছুটা বাকবিতন্ডা হয়। এরপর বিচারক তার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আদালতের এই আদেশের পরও সাহেদ তার পুনর্বিবেচনার আবেদন জানাতে থাকেন। তবে বিচারক তার আবেদনে  নাচক করে দেন।

এদিকে, গত ৬ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ আদালতে আসামি সাহেদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। পরে আদালত সাহেদের উপস্থিতিতে আজ শুনানির এদিন ধার্য করেন। পরে শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েসের আদালত তার সাত রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এবি/রাতদিন