আম্ফান: রংপুর বিভাগে প্রবল ঝড়ের সম্ভাবনা কম, অতি ভারী বৃষ্টিপাতের আশংকা

নিম্নচাপ চাপ থেকে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পর ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের গতিমুখ ছিল উত্তর-পশ্চিম দিকে। এখন তা বাঁক নিয়ে সরাসরি সুন্দরবনের দিকে ধেয়ে আসছে। এই শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথে রয়েছে দিঘা থেকে বাংলাদেশের হাতিয়া দ্বীপ।এর প্রভাবে রংপুর বিভাগে প্রবল ঝড়ের আশংকা না থাকলেও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।  

মঙ্গলবার, ১৯ মে মধ্যরাতে বাংলাদেশ ও ভারতের আবহাওয়া অদিদপ্তর সুত্রে এমনটাই জানা গেছে।

সোমবার আম্ফান শক্তি বাড়িয়ে ‘সুপার সাইক্লোনে’ পরিণত হয়েছিল। মঙ্গলবার সামান্য কিছুটা শক্তি হারিয়েছে, তবে এখনও ‘এক্সট্রিমলি সিভিয়ার সাইক্লোনে’র রূপ নিয়েছে। ফলে সমুদ্র থেকে যখন স্থলভাগে আম্ফান আছড়ে পড়বে তার গতি থাকবে প্রবল। আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে সাগরদ্বীপ এবং সুন্দরবন অঞ্চলে।

যদিও এখনও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না ঠিক কোথায় ছোবল মারবে আম্ফান। তবে যা গতিপথ রয়েছে তাতে মনে করা হচ্ছে সাগরদ্বীপ, কাকদ্বীপ এবং সুন্দরবন এলাকায় সবচেয়ে বেশী ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, গতিপথ পরিবর্তন না করলে এটি বাংলাদেশের মধ্যভাগ থেকে পশ্চিমাঞ্চল দিয়ে বাংলাদেশ অতিক্রম করবে। স্থলভাগে প্রবেশের পর বাতাসের বেগ কমতে থাকবে।

আবহাওয়া অফিসের সুত্র মতে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান রংপুর বিভাগ অতিক্রম করার সময় বাতাসের গতিবেগ ২৫ থেকে ৪৫ কিলোমিটারের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। রংপুর বিভাগে ঝড়ের প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়তে পারে বুধবার বিকেলের পর থেকে। তবে সবচেয়ে বেশী প্রভাব পড়বে বৃহষ্পতিবার সকাল থেকে। ওইদিন সন্ধার পর থেকে বিভাগে ঝড়োহাওয়ার প্রভাব কমতে থাকবে।

অন্যদিকে, আম্ফানের প্রভাবে রংপুর বিভাগে বৃহষ্পতিবার দুপুর থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। ভারী থেকে অতি ভারী এই বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত। তবে বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে ধেমে থেমে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হতে পারে।

জেএম/রাতদিন