ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপকসহ আরও তিনজনের করোনা শনাক্ত, সৈয়দপুরে আতংক

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড সৈয়দপুর শাখার ব্যবস্থাপকসহ আরো তিনজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে বুধবার, ৬ মে পর্যন্ত ব্যাংকের ওই শাখায় কর্মরত মোট ৯ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী করোনায় আক্রান্ত হলো। আর রংপুর বিভাগে ১৭ জন ব্যাংকার করোনায় আক্রান্ত হলেন। এর আগে রংপুর ও সৈয়দপুর মিলিয়ে মোট ১৪ জন ব্যাংকারের করোনা শনাক্ত হয়

তৃতীয় ধাপে নমুনা পরীক্ষায় করোনায় আক্রান্ত এই তিনজনের মধ্যে সৈয়দপুর শহরে বসবাসকারী দুইজনকে গত মঙ্গলবার রাতে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।

সেই সঙ্গে শহরের শহীদ ডা. বদিউজ্জামান সড়কের বসবাসকারী বাহাদুর সর্দারের বাড়িসহ ৮টি বাড়িতে থাকা ১৩ পরিবারকে লকডাউন করা হয়েছে। সৈয়দপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) পরিমল কুমার সরকারে উপস্থিতিতে ওই বাড়িগুলো লকডাউন করা হয়।

এ সময় সৈয়দপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু মো. আলেমুল বাশার, পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. এরশাদ হোসন পাপ্পু,মেডিক্যাল অফিসার ডা. আরমান হোসেন রণি, মেডিক্যাল টেকনোলজিষ্ট (ইপিআই) মো. আবু তাহের সিদ্দিকী ও স্বাস্থ্য পরিদর্শক (ভারপ্রাপ্ত) বরকতউল্লাহ্ উপস্থিত ছিলেন।

করোনা আক্রান্ত অপর কর্মচারী আবু সাঈদ ব্যাংকের শাখায় অবস্থান করতেন। ওই শাখাটি গত ২৮ এপ্রিল লকডাউন করা হয়েছিল।

সৈয়দপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) পরিমল কুমার সরকার করোনা আক্রান্ত দুই কর্মচরীকে আইসোলেশন ইউনিটে পাঠানো এবং ১৩টি পরিবারকে লকডাউনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এদিকে, গত ২৮ এপ্রিল ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড সৈয়দপুর শাখাটি লকডাউন করা হলে ব্যাংকটির শাখাব্যবস্থাপক তাঁর বগুড়ার সেউজগাড়ি এলাকার বাড়িতে চলে যান। পরবর্তীতে তিনি স্বেচ্ছায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে করোনা নমুনা দেন। গত মঙ্গলবার নমুনা পরীক্ষায় তাঁর করোনা পজিটিভ আসে। বর্তমানে তিনি বগুড়া সেউজগাড়ীতে হোম কোয়ারিন্টিনে রয়েছেন বলে জানা গেছে।

এর আগে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড সৈয়দপুর শাখায় কর্মরত কর্মকর্তাদের প্রথম দফায় দুই জনের নমুনা পরীক্ষায় এবং দ্বিতীয় দফায় চার জনের নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ আসে। বতর্মানে ব্যাংকটির করোনা আক্রান্ত কর্মকর্তা কর্মচারীদের চারজন সৈয়দপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে, একজন নীলফামারীতে, একজন দিনাজপুরের পাবর্তীপুরে এবং দুইজন রংপুরে হোম কোয়ারেন্টিনে অবস্থান করছেন।

অন্যদিকে ব্যাকের একই শাখায় ৯ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী করোনা আক্রান্ত হওয়ায় গোটা সৈয়দপুর শহরে আতংক দেখা দিয়েছে।

জেএম/রাতদিন