দেখতে কিছু সিগারেটের মত হলেও আসলে এটি সিগারেট নয়। বর্তমানে সিগারেটের চেয়ে কম ক্ষতিকর হওয়ায় সারাবিশ্বেই বাড়ছে ইলেক্ট্রনিক সিগারেট তথা ই-সিগারেটের ব্যবহার। ক্যানসার রিসার্চে যুক্তরাজ্যের অর্থায়নে ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন (ইউসিএল) এ গবেষণা পরিচালনা করে।
ইংল্যান্ডে প্রতিবছর ৫০ হাজার মানুষ ধূমপান ছেড়ে দিচ্ছেন। সম্প্রতি জার্নাল অ্যাডিকশনের ম্যাগাজিনে প্রকাশিত এক গবেষণার ফলাফলে এ তথ্য পাওয়া যায়।
ফলাফল অনুযায়ী, ২০১১ সালে অধিক সংখ্যক লোক ধূমপান ছাড়তে ই-সিগারেটের দিকে ছুটেছেন। কেন না, এই সিগারেটে ক্ষতিকর হওয়ায় সম্ভাবনা নেই। ২০১৫ সালের দিকে যখন ই-সিগারেটের ব্যবহার বৃদ্ধি পায়, তখন সাফল্যের হারও বৃদ্ধি পেয়েছিল। ২০১৭ সালে ৫০ হাজার ৭০০ থেকে ৬৯ হাজার ৯৩০ জন ব্রিটিশ নাগরিক ই-সিগারেটের মাধ্যমে ধূমপান বন্ধ করে দিয়েছেন।
এ বিষয়ে গবেষক দলের প্রধান ড. এমা বিয়ার্ড বলেন, ধূমপায়ীদের থামাতে ই-সিগারেট কতটুকু কার্যকর তা জনসংখ্যা জরিপ এবং ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালগুলোর ওপর ভিত্তি করে করা হয়েছে। তবে ইংল্যান্ডে ই-সিগারেটের প্রচারের ওপর অনেক নিষেধাজ্ঞা। তারপরেও সিগারেট খাওয়া ছাড়তে ই-সিগারেটকে বেছে নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে ক্যান্সার রিসার্চ ইউকের প্রধান জর্জ বাটারওয়ার্থ বলেন, ই-সিগারেটগুলো তুলনামূলকভাবে নতুন পণ্য। তবে এগুলো ঝুঁকি মুক্ত নয় এবং আমরা এগুলোর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব জানি না। তবে আমরা অধূমপায়ীদের ই-সিগারেট ব্যবহারে নিরুৎসাহী করব।
এন এ/রাতদিন