একাই হানিমুনে গিয়েছিলেন অনিল কাপুরের স্ত্রী!

বলিউড অভিনেতা অনিল কাপুর ও তার স্ত্রী সুনিতার প্রেমের গল্প ছিল রূপকথার মতো। বন্ধুর কাছ থেকে নম্বর পেয়ে মডেল সুনিতার সঙ্গে মজা করতে ফোন দিয়ে তার কণ্ঠের প্রেমে পড়ে যান অনিল কাপুর। ভালোবাসার সফল সমাপ্তি টেনে ১৯৮৪ সালে তারা বিয়ে করেন। তাদের সুখের সংসার ৩৫ বছরের।

ভারতের একটি নিউজ পোর্টালকে অনিল কাপুর জানান, দুষ্টামির ছলে ফোন করার পর সুনিতার ইংরেজি শুনে মুগ্ধ হয়েছিলেন তিনি। রাজ কাপুরের ঘরোয়া পার্টিতে তাদের প্রথম সাক্ষাৎ হয়। সেদিনই সুনিতাকে দারুণ আকর্ষণীয় লেগেছে তার।

১৯৮৪ সালে ‘মেরি জাং’ ছবিটি সবেমাত্র হাতে পেয়েছেন, পায়ের তলার মাটি কিছুটা শক্ত হয়েছে। অথচ এর পরদিনই সুনিতাকে বিয়ে করেন অনিল কাপুর। ক্যারিয়ারের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এই তারকাকে বিয়ে না করার পরামর্শ দিয়েছিলেন অনেকে। কিন্তু আগেপিছে না ভেবে ভালোবাসাকে জয় করেছেন তিনি।

অবশ্য একগাদা শর্তে বিয়ে করতে রাজি হন সুনিতা। তার জন্য নিজেদের বাড়ি, পরিপাটি রান্নাঘর আর বাবুর্চি জোগাড় করতে হয়েছে তাকে। এর তিন দিন পর শুটিংয়ে চলে যান তিনি। তারপর তাকে ছাড়াই হানিমুন কাটাতে বিদেশে পাড়ি দেন সুনিতা!

সুনিতার বাবা ছিলেন ব্যাংকার। অনিল কাপুর তখনও পায়ের তলার মাটি শক্ত করতে কাঠখড় পোড়াচ্ছেন। নিজের একটা বাড়ি ও ঘরে বাবুর্চি রাখার শর্ত পূরণে দিনরাত ঘাম ঝরিয়েছেন তিনি। কারণ সুনিতার সাফ কথা ছিল, ‘রান্নাঘরে আমি যাবো না। তোমার জন্য রান্না করতে পারবো না।’

যদিও অনিল-সুনিতা দম্পতির ছোট মেয়ে রিয়া কাপুর পাকা রাঁধুনি। বড় মেয়ে সোনম কাপুর লকডাউন চলাকালে রান্নায় হাত পাকিয়েছেন। কেক বানিয়ে শাশুড়ির প্রশংসা কুড়িয়েছেন বলিউডের এই অভিনেত্রী।

চার দশকের ক্যারিয়ারে স্ত্রীর কাছ থেকে কাজের অনুপ্রেরণা পেয়েছেন অনিল কাপুর। সুনিতা সম্পর্কে তার রসিক মন্তব্য, ‘সে দায়িত্বশীল মা ও দারুণ স্ত্রী। সে আমাকে উদ্বুদ্ধ করে বলেই প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে কাজের জন্য বের হই। কেন জানেন? যখন তাকে জিজ্ঞাসা করি, ‘আরে গতকালই না তোমাকে অনেক টাকা দিলাম? তার উত্তর, ‘ওসব খরচ হয়ে গেছে।’

এনএ/রাতদিন