বরগুনার বামনার বসিরহাটে ওসির হাতে লাঞ্ছনার শিকার সেই সহকারী উপপরিদর্শককে (এএসআই) বামনা থানা থেকে সরিয়ে বরগুনা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত(ক্লোজ) করা হয়েছে। এর আগে এ ঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি করে জেলা পুলিশ। তবে সেই সহকারী উপপরিদর্শককে প্রত্যাহার করা হলেও ওসির বিরুদ্ধে এখনও কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার সংবাদ পাওয়া যায়নি।
বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মফিজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ওই এএসআইকে অন্য স্থানে পদায়নের থানা থেকে সরিয়ে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।
গতকাল রোববার, ১০ আগস্ট রাত ১১টার দিকে ওই এএসআইকে বরগুনার পুলিশ লাইনে সংযুক্ত হওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী এএসআই গণমাধ্যমকে বলেন, ‘গতকাল রাতে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত হওয়ার জন্য আমাকে আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নির্দেশ দিয়েছেন। এজন্য আমি পুলিশ লাইনে সংযুক্ত হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। তবে কেন বা কী কারণে আমাকে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে তা আমি এখনও অবগত নই।’
এ বিষয়ে বরগুনা পুলিশ লাইনের রেসিডেন্সিয়াল ইনচার্জ (আরআই) মো. মোজাম্মেল হক বলেন, বামনার অনাকাঙ্ক্ষিত সেই ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই এএসআইকে বরগুনার পুলিশ লাইনে সংযুক্ত হওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, পুলিশের গুলিতে নিহত মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের ভিডি চিত্র নির্মাণ সহকারী বরগুনার বামনার সাহেদুল ইসলাম সিফাতের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করেন। গতকালের এই মানববন্ধনে লাঠিচার্জ করে বামনা থানার ওসি মো. ইলিয়াস আলী তালুকদার। এসময় তিনি থানার এক এএসআইকে থাপ্পর মারেন। এ ঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি করেছে জেলা পুলিশ। ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে তদন্ত কমিটি।
এবি/রাতদিন