বহুল আলোচিত ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যা মামলার রায়ের পর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার বাদী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সুপ্রিম কোর্ট বার ভবনে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেন, প্রাথমিকভাবে এটা ‘কমপ্লিট জাজমেন্ট’। নুসরাত হত্যা মামলায় ১৬ জনের ফাঁসির রায় হয়েছে। আমি বলতে চাই, যদি সাবেক ওসি মোয়াজ্জেমকে এ হত্যা মামলায় অভিযুক্ত করলে মামলায় রায় পূর্ণতা পেতো। তারপরেও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম জেলে আছেন, তার বিচার শেষ পর্যায়ে। তার সাজা যদি কনফার্ম করা হয়, ন্যায় বিচারের মাধ্যমে যদি নিশ্চিত করা যায়, তাহলে নুসরাত জাহান রাফির আত্মা পরিপূর্ণভাবে শান্তি পাবে।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) মামলার রায়ে প্রধান আসামি অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাসহ ১৬ জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদ।
রায়ে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ এসএম সিরাজ উদ দৌলা (৫৭), নুর উদ্দিন (২০), শাহাদাত হোসেন শামীম (২০), কাউন্সিলর ও সোনাগাজী পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ আলম ওরফে মোকসুদ কাউন্সিলর (৫০), সাইফুর রহমান মোহাম্মদ জোবায়ের (২১), জাবেদ হোসেন ওরফে সাখাওয়াত হোসেন (১৯), আব্দুল কাদের (২৫), আবছার উদ্দিন (৩৩), কামরুন নাহার মনি (১৯), উম্মে সুলতানা ওরফে পপি (১৯), আব্দুর রহিম শরীফ (২০), ইফতেখার উদ্দিন রানা (২২), ইমরান হোসেন ওরফে মামুন (২২), সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মাদ্রাসার সাবেক সহ-সভাপতি রুহুল আমিন (৫৫), মহিউদ্দিন শাকিল (২০) ও মোহাম্মদ শামীম (২০)।
এন এ / রাতদিন