করোনাসহ দুই ভাইরাসকে হারালেন ইতালি নাগরিক

শত বছর আগের ভয়াবহ স্পেনিশ ফ্লু থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন ইতালির এক নাগরিক। এবার করোনাভাইরাসেও আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়ে বেঁচে ফিরলেন তিনি।

ভূমধ্যসাগরের অংশ আড্রিয়াটিক সাগরের উপকূলীয় শহর রিমিনির বাসিন্দা ওই ব্যক্তি। কর্তৃপক্ষ তার নাম দিয়েছে ‘পি’। ১৯১৯ সালে তিনি জন্মগ্রহণ করেন, বেড়ে উঠেন দুই বিশ্বযুদ্ধের মাঝামাঝি সময়ে।

রিমিনি শহরের ভাইস-মেয়র সূত্রে জানা যায়, হাসপাতালগুলো বয়স্ক রোগীতে ভর্তি হয়ে গেছে। স্বাস্থ্যকর্মীরা তাদের নিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছে।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত সপ্তাহে একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন শতবর্ষী পি। তবে কয়েকদিনেই তিনি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এর মধ্যে হাসপাতাল থেকে বাড়িও ফিরে গেছেন।

১৯১৮ থেকে ১৯২০ সাল পর্যন্ত ৫০ কোটি মানুষের মাঝে ছড়িয়ে পড়েছিল স্পেনিশ ফ্লু, যা সেই সময়ে বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় এক চতুর্থাংশ। আনুমানিক ১.৭ থেকে ৫ কোটি বা কোনো কোনো হিসাবে ১০ কোটির মতো মানুষ মারা গিয়েছিল এই মহামারিতে। মানব ইতিহাসের সবচেয়ে মারাত্মক মহামারী হিসেবে দেখা হয় এই ফ্লুকে।

কভিড-১৯ ভাইরাসে এখন পর্যন্ত ইতালিতেই সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ১০ হাজারের অধিক। আক্রান্ত ৯১ হাজারেরও বেশি মানুষ। তবে পি’র বেঁচে ফিরে আসার ঘটনা আক্রান্ত মানুষের মধ্যে আশার আলো জ্বালিয়েছে।

এদিকে স্পেনিশ ফ্লু থেকে বেঁচে যাওয়া এক ব্রিটিশ নারী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। যুক্তরাজ্যে করোনায় মৃতদের মধ্যে তিনি সবচেয়ে প্রবীণ নারী। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মৃত্যু হয় ১০৮ বছর বয়সী ওই ব্রিটিশ নাগরিক।

এনএ/রাতদিন