চলতি বছরের উচ্চমাধ্যমিক ও সমমান পরীক্ষাও পিছিয়ে দেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। আগামী রোববার অথবা সোমবারের মধ্যে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়া না হওয়া নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পরীক্ষা পিছিয়ে যেতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সুত্রগুলো বলছে।
দেশের একাধিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানও এমন আভাসই দিয়েছেন।এর আগে ১৬ মার্চ করোনাভাইরাস সতর্কতায় দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার।
তবে এইচএসসি পরীক্ষা পেছানোর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না হওয়ায় ওইদিন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছিলেন, সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা জানান, এইচএসসি পরীক্ষা নেয়ার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হলেও বাস্তবে পাবলিক পরীক্ষা নেয়ার মতো অবস্থা এখন নেই। এ অভিমত তারা এরই মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছেন।
বোর্ড চেয়ারম্যানদের এমন মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে গত বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এইচএসসি পরীক্ষা সংক্রান্ত আইনশৃঙ্খলা কমিটির বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও তা বাতিল করা হয়।
প্রতিটি পাবলিক পরীক্ষার এক সপ্তাহ আগে শিক্ষামন্ত্রীর সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা বাতিল হওয়া পরীক্ষা পিছিয়ে দেয়ারই ইঙ্গিত বলে জানান তারা।
পরীক্ষা পিছিয়ে দেয়া হচ্ছে কিনা- জানতে চাইলে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক গতকাল বৃহস্পতিবার একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘অনেকটা তাই। তবে এ ব্যাপারে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। আগামী রোববার বা সোমবারের মধ্যে আমরা সংশ্নিষ্ট সবাইকে জানিয়ে দেব।’
রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোকবুল হোসেন বলেন, ‘প্রায় ৬০০ থেকে ৭০০ কেন্দ্র সচিবকে নিয়ে এ সভা করতে হয়। এ মুহূর্তে বিপুলসংখ্যক মানুষের সমাগম আমরা সঠিক মনে করিনি। তাই সভা না করে সব নির্দেশনা বোর্ডের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে।’
প্রসঙ্গত আগামী ১ এপ্রিল বাংলা (অবশ্যিক) প্রথমপত্র দিয়ে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। ৪ মে পর্যন্ত তত্ত্বীয় পরীক্ষা হওয়ার কথা।
এরপর ৫ মে ব্যবহারিক পরীক্ষা শুরু হয়ে ১৩ মে পর্যন্ত চলার কথা রয়েছে।