কুড়িগ্রামে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ও কলেজ শিক্ষক আতাউর রহমান মিটুর এক হাত কর্তনসহ শরিরের বিভিন্ন অংশ ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুত্বর আহত করার প্রতিবাদে ও সস্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার, ১৯ মার্চ দুপুরে ছাত্রলীগের উদ্যোগে শহরের কলেজমোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহর প্রদক্ষিন শেষে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করে।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা যুব লীগের যুগ্ম আহবায়ক আনিসুর রহমান চাঁদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান, জেলা ছাত্র লীগের সাবেক সভাপতি মিনহাজুল ইসলাম আইয়ুব, পৌর ছাত্র লীগের সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ, কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ শাখার সাবেক সভাপতি আতিকুর রহমান আতিক, মজিদা কলেজ শাখার সাবেক সভাপতি মিটু মিয়া প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, মজিদা কলেজের শিক্ষক ও সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আতাউর রহমান মিটুর উপর যে বর্বর হামলা চালানো হয়েছে তা অত্যন্ত ঘৃণিত। মিটুকে প্রথমে রংপুর এবং পরে ঢাকায় পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। সে হয়তো সুস্থ হয়ে উঠলেও সারাজীবন পঙ্গুত্ব বরণ করতে হবে। এ ঘটনার জড়িতদের আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জোড় দাবি জানান তারা।
অপরদিকে একই দাবিতে শহরের মজিদা আদর্শ মহাবিদ্যালয়ের সামনে মানব বন্ধন করে কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থরা। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কলেজের অধ্যক্ষ খাজা শরীফ উদ্দিন আলী আহমেদ, সহকারী অধ্যাপক রাম গোপাল সরকার, প্রভাষক হারুন অর রশীদ, প্রভাষক সুরাইয়া আকতার, প্রভাষক মামুন সেলিম প্রমুখ।
বক্তরা অতিদ্রুত সস্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও বিচার দাবী করেন।
প্রসংগত, কুড়িগ্রাম মজিদা আদর্শ ডিগ্রি কলেজের ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি আতাউর রহমান মিটুকে গত মঙ্গলবার দুপুরে তার উপরে হামলা চালানো হয়। জেলার রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের পালপাড়া এলাকায় আগে থেকে ওত পেতে থাকা কয়েকজন সস্ত্রাসী এই হামলা চালায়। এতে তার ডান হাতের কব্জি শরীর থেকে বিছিন্ন হয়ে যায়। এছাড়াও তার অপর হাত ও দুই পায়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে দুর্বত্তরা।
জেএম/রাতদিন