ক্লাসরুম ও রাস্তায় পানি ওঠায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে কুড়িগ্রামে ২৮৫ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। পানির তোড়ে ভেঙ্গে গেছে জেলার দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়। প্লাবিত হয়েছে নয় উপজেলার তিন শতাধিক গ্রাম। গৃহহীন হয়েছে এক হাজার ১৫টি পরিবার।
সোমবার, ১৫ জুলাই পর্যন্ত জেলার ২৮৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাসরুম, মাঠ ও চলাচলের রাস্তায় পানি ওঠায় পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। স্কুলগুলোর অধিকাংশই চার-পাঁচ ফুট পানির নিচে তলিয়ে আছে।
জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার শংকর মাধবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নাগেশ্বরী এলাহীর চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পানির তীব্র স্রোতে ভেঙে গেছে ।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম জানান, নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে শিক্ষকদের উপস্থিত থেকে সংশ্লিষ্ট এলাকার জনসাধারণকে বন্যা মোকাবিলায় সহায়তার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জেলা সদরের হলোখানা ইউনিয়নের সারডোব, বাংটুর ঘাট, উলিপুরের চর বজরা ও রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের গাবুরহেলান গ্রামে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ হুমকির মুখে রয়েছে।
তবে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম জানিয়েছেন, ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধগুলো ২৪ ঘণ্টা নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে। বাঁধ মেরামতে বালুর বস্তা ফেলা হচ্ছে।
জেএম/রাতদিন