রংপুর থেকে লালমনিরহাট। সেখান থেকে বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইন কুড়িগ্রামে প্রবেশ করায় লালমনিরহাট-কুড়িগ্রাম সঞ্চালন লাইনে ত্রুটি ছিল নিত্যসঙ্গী। লো-ভোল্টেজ আর লোড শেডিং জেলাবাসীর বিড়ম্বনা আরও বাড়িয়ে দিতো। তবে এবার এই দুর্ভোগের অবসান ঘটতে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার, ২৭ আগস্ট কুড়িগ্রাম-রাজারহাট সড়কের টগরাইহাট এলাকায় স্থাপিত ১৫০ এমভিএ ক্ষমতা সম্পন্ন নতুন গ্রিড সাবস্টেশন ও রংপুর-তিস্তা-কুড়িগ্রাম সঞ্চালন লাইনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে প্রকল্পটি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। আর এর মাধ্যমে কুড়িগ্রামবাসী এখন থেকে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎসেবা পাবেন বলে মনে করছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লি. (পিজিসিবি) এর আওতায় স্থাপিত এই সাব স্টেশনের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. এরশাদ আলী জানান, তিস্তা থেকে প্রায় ১৭ দশমিক ৩৫৯ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন ও ১৫০ এমভিএ ক্ষমতা সম্পন্ন গ্রিড সাবস্টেশনটির ফলে জেলার বিদ্যুৎ গ্রাহকরা নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ পাবেন। বিদ্যুতের ভোল্টেজও ভালো থাকবে। মূলত এই সাব স্টেশনের মাধ্যমে এক লাখ ৩২ হাজার ভোল্টেজকে ৩৩ হাজার ভোল্টেজে রূপান্তরিত করে জেলার নেসকো ও পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডকে সরবরাহ করা হবে।
সাবস্টেশনের দায়িত্বে থাকা সহকারী প্রকৌশলী হোসেন মো. ইজতিহাদ জানান, আগে লালমনিরহাট সাবস্টেশনের মাধ্যমে কুড়িগ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হতো। এতে করে সরবরাহে ত্রুটি ছাড়াও লোড শেড ও লো-ভোল্টেজ সমস্যা ছিল। কিন্তু কুড়িগ্রামের জন্য আলাদা এই সাব স্টেশন ও সঞ্চালন লাইন তৈরি হওয়ায় জেলার নেসকো ও পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের গ্রাহকরা সেই ভোগান্তি থেকে রেহাই পাবেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, ভিডিও কনফারেন্সে প্রকল্পের পরিচালকসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিরা যুক্ত হবেন।
এবি/রাতদিন