কুড়িগ্রামের উলিপুরে দ্বিতীয় স্ত্রীর সামনে থেকে স্বামীকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে গেছে প্রথম স্ত্রীর লোকজন। গতকাল রোববার, ২৩ আগস্ট রাতে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা অফিসের সামনে দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে ফুসকা খাওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, উপজেলার তবকপুর ইউনিয়নের উমানন্দ পণ্ডিতপাড়া গ্রামের নুরবক্ত আলীর ছেলে আশরাফুল আলমের আট বছর পূর্বে পার্শ্ববর্তী ধামশ্রেণী ইউনিয়নের যাদুপোদ্দার গ্রামের আজিজার রহমানের মেয়ে আর্জিনা বেগমের সাথে বিয়ে হয়। তাদের ঘরে একটি পুত্রসন্তানও রয়েছে।
তবে বছর দুয়েক আগে আশরাফুল আলম পৌর শহরের জোনাইডাঙ্গা গ্রামের সুমন মিয়ার মেয়ে শামীমা আক্তার সুমির (২১) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে গোপনে তাকেও বিয়ে করেন। কিছুদিন পূর্বে এ ঘটনা ফাঁস হলে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে আশরাফুল আলমের সম্পর্কের অবনতি ঘটে।
তার দ্বিতীয় স্ত্রী সুমি ও পরিবারের লোকজন জানান, রোববার রাতে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা অফিসের সামনে স্ত্রী, শাশুড়ি ও দুই শ্যালিকাসহ ফুসকা খেতে আসে আশরাফুল আলম। ফুসকা খাওয়ার সময় সেখানে হঠাৎ একটি মাইক্রোবাস এসে দাঁড়ায়। মাইক্রোবাসে থাকা প্রথম স্ত্রী আর্জিনার ভাইসহ কয়েকজন যুবক গাড়ি থেকে নেমে কৌশলে আশরাফুল আলমকে ডেকে নেয়। পরে আশরাফুলকে জোরপূর্বক গাড়িতে তুলে নেয়।
এসময় সুমি তার স্বামীকে রক্ষায় গাড়িতে উঠার চেষ্টা করলে তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়া হয়। এরপর গাড়িটি দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এ সময় সুমি গাড়ির পেছনে কান্না করতে করতে ছুটতে থাকেন। পরে স্থানীয় লোকজন তার কাছে ঘটনার বিস্তারিত শুনে পুলিশে খবর দেন। তবে পুলিশ অভিযান চালিয়েও আশরাফুল আলমকে উদ্ধার করতে পারেনি।
উলিপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রুহুল আমীন জানান, ওই যুবককে উদ্ধারের জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
এবি/রাতদিন