ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকার পর স্বাস্থ্য ছাড়পত্র নিয়ে শনিবার, ১৩ মার্চ দেশে ফিরছেন ২৩ বাংলাদেশি। বাংলাদেশ সরকারের আর্থিক সহায়তায় বিকালে বিমানে ঢাকার উদ্দেশ্যে নয়াদিল্লি ত্যাগ করবেন তারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার ওই বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে এবং এর মধ্যে কেউই করোনাভাইরাস আক্রান্ত হননি।
ওই দলে থাকা এক শিক্ষার্থী ফোনে বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে বলেন, ‘আমরা শুক্রবার স্বাস্থ্য ছাড়পত্র পাব এবং শনিবার ঢাকায় ফিরতে পারব বলে আশা করছি।’
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ভারতীয় বিমান বাহিনীর একটি বিশেষ বিমানে বেশ কয়েকজন ভারতীয় নাগরিকের সঙ্গে করোনাভাইরাসের কেন্দ্রস্থল চীনের উহান থেকে তাদেরকে সরিয়ে নেয়া হয়েছিল।
এর আগে গত ১ ফেব্রুয়ারি চীনের উহান থেকে ৩১২ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনে সরকার এবং বাকি বাংলাদেশিদের ফেরত আসার ক্ষেত্রে নিবন্ধন করা হয়।
৮টি পরিবার এবং ৫ শিশুসহ ৭৬ ভারতীয় নাগরিক এবং অন্যান্য দেশের ৩৬ জন নাগরিককে ফিরিয়ে আনার পর প্রথমে বিমানবন্দরে পর্যবেক্ষণ করা হয় এবং তাদেরকে প্রাথমিক সকল সুবিধা সরবরাহ করা হয়।
বিদেশি নাগরিকদের মধ্যে ২৩ জন বাংলাদেশের, ৬ জন চীনের, মিয়ানমার ও মালদ্বীপের ২ জন করে এবং মাদাগাস্কার, দক্ষিণ আফ্রিকা ও যুক্তরাষ্ট্রের একজন করে নাগরিক ছিলেন।
চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি উহান থেকে প্রথম দলকে ফিরিয়ে আনার ৪৮ ঘণ্টা আগে নয়াদিল্লির ছাওলাতে কোয়ারেন্টাইন ক্যাম্প প্রস্তুত করেছিল আইটিবিপি।
বাংলাদেশি নাগরিকদের বিশেষ সুযোগ-সুবিধা দিয়ে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিল বলে জানিয়েছে দেশটির ঢাকাস্থ হাইকমিশন।
অপর এক শিক্ষার্থী বার্তা সংস্থাটিকে বলেন, ‘ভারতীয় বিমান বাহিনী এবং ভারত সরকার যে অভূতপূর্ব কাজ করেছে সেজন্য আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই।’
দলের পক্ষ থেকে তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকায় সবার জন্যই বেদনাদায়ক এক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। তবে বেইজিংয়ের ভারতীয় দূতাবাস স্বতঃস্ফূর্তভাবে সাহায্য করেছে এবং তাদেরকে সরিয়ে নিতে সম্মতি জানায়।
এদিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং স্থানীয় আরও ৩টি বিমান সংস্থা নয়াদিল্লির সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে ভারতে তাদের সব ফ্লাইট স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে। তবে বাংলাদেশি নাগরিকদের শনিবার সুষ্ঠুভাবে ফিরিয়ে আনার জন্য বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং ভারতীয় কর্তৃপক্ষের মধ্যে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশে ফেরত আসার জন্য অপেক্ষায় থাকা এক শিক্ষার্থী।
এবি/রাতদিন