দীর্ঘ ২২ বছর পরে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী মহুবর রহমান(৪৮)কে গ্রেফতার করেছে লালমনিরহাটের আদিতমারী থানা পুলিশ। ১৯৯৯ সালের ২৭ মে তিনি একটি হত্যাকান্ড ঘটান।
মঙ্গলবার, ১ ফেব্রুয়ারী দিবাগত মধ্যরাতে রংপুর শহরের বস্তি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে আদিতমারী থানা পুলিশ।
গ্রেফতার মহুবর রহমান উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের চর গোবর্দ্ধন গ্রামের মনসুর আলীর ছেলে।
আজ বুধবার, ২ ফেব্রুয়ারী দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন আদিতমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি তদন্ত) মোজাম্মেল হক।
তিনি জানান, ক্ষেতের ধান গরুতে খাওয়া নিয়ে সংঘর্ষে ১৯৯৯ সালের ২৭ মে স্থানীয় আফজাল হোসেন নামে একজনকে ছুরি দিয়ে হত্যা করা হয়। ওই দিনই কাচু শেখ বাদি হয়ে এ ঘটনায় আদিতমারী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় মহুবর রহমানকে প্রধান ও তার বাবা মনসুর আলীকে হুকুমের আসামী করা হয়।
ঘটনার দিনই যান প্রধান আসামী মহুবর রহমান। একই সালের ২ সেপ্টেম্বর তাদের বাবা ছেলেকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্যশীট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তৎকালিন আদিতমারী থানার উপ পরিদর্শক(এসআই) ফজলুল হক।
এ মামলায় ২০০৩ সালে প্রধান আসামী মহুবর রহমান ও তার বাবাকে যাবজ্জীবন সাজা প্রদান করেন আদালত। বাবা মনসুর আলী গ্রেফতার থাকায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। তিনি ১৪ বছর সাজা ভোগ করলে সরকার তার বাকী সাজা মওকুফ করেন। এ মামলায় প্রধান আসামী মহুবর রহমান পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
ঘটনার দিন থেকে পলাতক থাকা মহুবর রহমান দীর্ঘ ২২ বছর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম এলাকায় শরীরের গঠন পরিবর্তন করে দিনমজুরের কাজ করে আত্মগোপন করেছিলেন।
৬মাস আগে তার গ্রেফতারী পরোয়ানা পেয়ে আদিতমারী থানার উপ পরিদর্শক(এসআই) জয়নাল আবেদীন তাকে গ্রেফতারে অনুসন্ধান চালান। কুমিল্লা শহরের বাসিন্দা এসআই জয়নাল আবেদীন কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে সোর্স নিয়োগ করে আসামী মহুবর রহমানের অবস্থান জানতে পারেন। পুলিশের অভিযান বুঝতে পেয়ে গত মাসে কুমিল্লা শহর ছেড়ে আবারও শরীরের গঠন পরিবর্তন করে রংপুর শহরের একটি বস্তিতে আশ্রয় নেন। মঙ্গলবার রংপুর পুলিশের সহায়তা নিয়ে মহুবর রহমানকে গ্রেফতার করেন এসআই জয়নাল আবেদীন।
বিকেলের মধ্যে গ্রেফতার মহুবর রহমানকে লালমনিরহাট কারাগারে পাঠানো হবে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।