সাম্প্রতিক সময়ে অতিবৃষ্টি, বন্যা ও নদী ভাঙ্গনে গঙ্গাচড়ার ৫টি ইউনিয়ন ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এসমস্ত এলাকার মধ্যে লক্ষীটারী ইউনিয়নের ভাংগনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন বিরোধী দলীয় চীফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ এমপি।
বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই দুপুরে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার লহ্মীটারী ইউনিয়নের পশ্চিম ইচলী এলাকায় নদী ভাঙ্গন ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, নদী রক্ষার নামে অর্থ লোপাটের শংঙ্কায় সরকার ভরা বর্ষায় তদন্ত ছাড়া ভাঙন রোধ কাজ করতে চায় না। বর্ষা মৌসুমে ভাঙ্গন রোধে সরকার উদ্যোগ নিলেও দেখা যায় একটি বস্তা না ফেলেও দেখানো হয় ৪০ হাজার বস্তার কাজ হয়েছে। এরপর তদন্ত, প্রতিবেদন এগুলো করতেই এলাকার মানুষ ভাঙনে নি:স্ব হয়ে যায়।
রাঙ্গা বলেন, এবারের বন্যা-ভাঙ্গনে গঙ্গাচড়ার ৫টি ইউনিয়ন ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এর মধ্যে লহ্মীটারীর ইউনিয়নের চর শংকরদহ বিলীন হয়ে গেছে। এ বিষয়ে তিনি পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়সহ প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করে তিস্তা নদী সঠিকভাবে খনন করার দাবী জানান।
দীর্ঘসময় ধরে তিস্তাগর্ভে বিলীন হওয়া চর শংকরদহ গ্রাম এবং পানির স্রোতে সড়ক ভেঙ্গে প্লাবিত হওয়া পশ্চিম ইচলী পরিদর্শন করেন তিনি। পরে ওই এলাকায় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষদের হাতে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহার তুলে দেন ।
এসময় গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাসলিমা বেগম, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকতা জাহাঙ্গীর আলম, গঙ্গাচড়া মডের থানার অফিসার ইনর্চাজ সুশান্ত কুমার সরকার, এমপি কন্যা মালিহা তাসনিম জুঁই তার সাথে ছিলেন।
অন্যান্যদের মধ্যে লহ্মীটারী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ্ আল হাদী, উপজেলা জাতীয় যুব সংহতি সভাপতি আব্দুল মালেক, জাতীয় সাইবার পার্টির সাধারণ সম্পাদক সুজন আহম্মেদ, জাতীয় ছাত্র সমাজ সভাপতি নুরুল হুদা নাহিদসহ জাতীয় পার্টি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
জেএম/রাতদিন
উত্তরের মুখ