উপমহাদেশের ভাওয়াইয়া গানের কিংবদন্তি প্রয়াত মহেশ চন্দ্র রায়ের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে নীলফামারীতে। এদিন তার গ্রামের বাড়িতে বসেছিলো ভাওয়াইয়া গানের আসর। আলোচনা হয়েছে তার জীবন ও কর্ম নিয়ে।
মঙ্গলবার, ১ ফ্রেরুয়ারি বিকাল থেকে রাত ৮ টা অবধি সৈয়দপুর শহরের অদুরে নীলফামারী সদরে সংগলশী ইউনিয়নে শিল্পীর বাড়ি দিঘলডাঙ্গী গ্রামে এই আয়োজন করা হয়।
আসরে গীতিকার, সুরকার ও সংগীত শিল্পী প্রয়াত মহেশ চন্দ্র রায়ের স্বরচিত ভাওয়াইয়া গান পরিবেশন করেন, রংপুর বেতারের নিয়মিত শিল্পী নার্জিজ বানু, কৃষ্ণ কমল রায়, মমিনুল ইসলাম মমিন, তরুণ কুমার রায়, বিনয় কুমার রাজবংশী, দিঘলডাঙ্গী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা কল্পনা রায়, শিশির কুমার রায়, মাহিয়া মালিয়া, এম. ওমর ফারুকসহ ১৬ জন কন্ঠশিল্পী।
এর আগে সাংবাদিক মো. আমিনুল হকের সভাপতিত্বে শিল্পীর জীবনী নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন, শিল্পীর নাতি টিকেন্দ্রজিৎ রায় মিরু ও নার্জিজ বানু।
উল্লেখ্য, ক্ষণজন্মা এই গুণী শিল্পী ১৯১৯ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাজবংশীয় ক্ষত্রীয় বংশে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৯৩ সালে ২৯ জানুয়ারি পরলোক গমন করেন। তাকে স্মরণীয় করে রাখতে তাঁর রচিত গান নিয়ে নীলফামারী শিল্পকলা একাডেমী ১৯৯৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর ধীরে বোলাও গাড়ী (প্রথম খন্ড), ২০০৩ সালে বাংলা একাডেমি মহেশ চন্দ্র রায়ের গান এবং ২০১০ সালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী ভাওয়াইয়া শিল্পী মহেশ চন্দ্র রায় জীবন ও গান নামে পৃথকভাবে তিনটি গানের বই প্রকাশ করে।
এছাড়া শিল্পীর গান ও জীবনী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিষয়ে পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভূক্ত করা হয়।