সংসারের প্রয়োজনে দাদনে ৩০ হাজার টাকা নিয়েছিলেন বাসচালক কোব্বাস আলী। দেড় বছর পর সুদসহ তার কাছে দাবি করা হয় দেড় লাখ টাকা। সেই টাকা দিতে না পারায় দাদন ব্যবসায়ী ও তার লোকজন ওই বাসচালককে মারপিট করেন। দাবিকৃত টাকা দিতে না পারায় ও লজ্জায় সেই বাসচালক আত্মহত্যা করেছেন।
গতকাল সোমবার, ২৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় গাইবান্ধা সদর উপজেলার খোলাহাটি ইউনিয়নের রথেরবাজার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
কোব্বাস আলী ওই গ্রামের আজিজুর রহমানের ছেলে। তিনি শ্যামলী পরিবহনের চালক ছিলেন।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, একই ইউনিয়নের দশানি গ্রামের দাদন ব্যবসায়ী সোনা মিয়ার কাছে সুদে ৩০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন কোব্বাস আলী। সেই টাকা লাভে আসলে দেড় বছরে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দাবি করেন সোনা মিয়া। এ নিয়ে গত শনিবার কোব্বাস আলীকে বেধড়ক মারপিট করেন তিনি।
কোব্বাসের পরিবারের অভিযোগ, স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে কিছুদিন আগে সালিশ হয়। সেই সালিশে লাভের অংশ বাদ দিয়ে আসল ৩০ হাজার টাকা দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সালিশ বৈঠকে সোনা মিয়া সব কিছু মেনে নেন। কিন্তু তারপরেও শনিবার লাভের টাকার জন্য কোব্বাসকে চাপ দেন সোনা মিয়া। এদিন টাকা না দেয়ায় কোব্বাসকে মারপিট করেন।
খোলাহাটি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য সৈয়দ মোস্তফা জামান মিন্টু বলেন, ‘সোনা মিয়ার কাছ থেকে কোব্বাস ৩০ হাজার টাকা নিছিল। সেই টাকা চক্রবৃদ্ধি হারে ১৮ মাসে হয় ১ লাখ ২০ হাজার। এটার জন্য কোব্বাসের বাড়ি-ভিটে স্ট্যাম্প করে নেয় সে। তাকে মারধরও করা হয়। এ লজ্জায় কোব্বাস গলায় ফাঁস দিয়া আত্মহত্যা করেছে। আমরা ঘটনার তদন্তপূর্বক বিচার চাই।’
গাইবান্ধা সদর থানার ওসি মাহফুজার রহমান বলেন, ‘মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে পরে জানানো হবে।’
এবি/রাতদিন