গেল বছরে ৬২৬ শিশু ধর্ষণের শিকার

গত বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৬২৬ শিশু। এর প্রধান কারণ হিসেবে করোনা মহামারিকে অনেকটা দায়ী করছে বিশেষজ্ঞরা। তারা মনে করছেন,অফিস-আদালত বন্ধ থাকায় শিশু ধর্ষণ ও বাল্যবিবাহ বেশি হয়েছে।

শনিবার ৯ জানুয়ারি অনলাইনে আয়োজিত ভার্চুয়াল এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ)।

এ সময় ‘বাংলাদেশ শিশু পরিস্থিতি ২০২০’শিরোনামে শিশু অধিকার বিষয়ক সংবাদের বিশ্লেষণ থেকে প্রাপ্ত তথ্য উপস্থাপন করেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তারা।

এমজেএফএর কর্মকর্তারা বলেন, বাংলাদেশের শিশুরা তাদের ঘরেই নিরাপদ নয়। কারণ অধিকাংশ শিশু-ধর্ষণ পারিবারিক পরিমণ্ডলে পরিচিতদের দ্বারাই ঘটেছে। একইভাবে পারিবারিক প্রভাবের কারণে করোনাকালে বাল্যবিবাহ আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। গেলো বছর (২০২০) বাল্যবিবাহ ৬০ শতাংশ বেড়েছে।

তারা জানান, ২০২০ সালে ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিশুরাই ধর্ষণের শিকার হয়েছে বেশি। এরপর ৭ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশু রয়েছে। শিশুদের চকলেট বা খাবারের লোভ দেখিয়ে, ভয় দেখিয়ে, মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে এবং ঘরে একা পেয়েও ধর্ষণ করা হয়েছে। এমনকি ত্রাণ দেয়ার কথা বলে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।

এমজেএফ এর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম বলেন, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের বিশ্লেষণ অনুযায়ী শিশুরা নিজের বাসায় নিরাপদ নয়। শিশুরক্ষায় নিয়োজিত সরকারি প্রতিষ্ঠানের সবাইকে আরও বেশি দায়িত্ববান হওয়ার পাশাপাশি শিশু অধিকার রক্ষায় সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।

এছাড়া তিনি বাংলাদেশের শিশুদের সার্বিক নিরাপত্তা দিতে আরও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ সরকারের কাছে দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের শিশু-অধিকার বিষয়ক ককাসের সদস্য আরমা দত্ত এমপি। এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু-বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব মুহিবুজ্জামান এমজেএফের পরিচালনা বোর্ডের সদস্য ফাতেমা ইউসুফ প্রমুখ।

এনএ/রাতদিন

মতামত দিন