রংপুরের পীরগঞ্জে ছেলের প্রেমিকাকে হত্যা চেষ্টার দায়ে প্রেমিকের মাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার আনোয়ারা বেগম একজন সাবেক সেনা সদস্যের স্ত্রী। হত্যা চেষ্টাকারী জিহাদ পলাতক রয়েছে।
শুক্রবার, ১৯ জুলাই রাতে উপজেলার ভীমশহর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
মামলার বাদী, এলাকাবাসী ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কুমেদপুর ইউনিয়নের পলাশবাড়ী গ্রামের জনৈক এক কৃষকের কলেজ পড়ুয়া কন্যার সাথে পাশের ভীমশহর গ্রামের সাবেক সেনা সদস্য লাল মিয়ার কলেজ পড়ুয়া ছেলে আমিরুল ইসলাম জিহাদ প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। বিষয়টি প্রকাশ হলে বছরখানেক আগে পারিবারিকভাবে সম্পর্ক বিচ্ছেদের মাধ্যমে বিষয়টি মিটিয়ে ফেলা হয়। কিন্তু নাছোড়বান্দা জিহাদ পুনরায় ওই মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে জিহাদের মা আনোয়ারা। ১২ জুলাই জিহাদের সাথে বিয়ে দেয়ার কথা বলে ওই কলেজ ছাত্রীকে তাদের বাড়ীতে ডেকে পাঠায়। পরে জিহাদও একই কথা বলে প্রেমিকাকে তার বাড়িতে ডাকে। এতে আশ্বস্ত হয়ে ওইদিন সন্ধ্যার পূর্বে মেয়েটি জিহাদের বাড়ী যায়।
রাত গভীর হলে প্রেমিকার সাথে ‘মা-ছেলে’ তর্কে লিপ্ত হয়। একপর্যায়ে প্রেমিকার হাত-পা বেঁধে গলায় ওড়না-গামছা পেঁচিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। সেইসাথে যাতে চিৎকার করতে না পারে এ জন্য মুখে কচটেপ লাগিয়ে দেয়। এসময় মা-ছেলে বাইরে গেলে হাত ও পায়ের বাঁধন খুলে ওই প্রেমিকা পালিয়ে প্রতিবেশির বাড়ীতে আশ্রয় নেয়।
ভেন্ডাবাড়ী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের টহল পুলিশ খবর পেয়ে এসআই মাহবুব হোসেন স্থানীয় ইউপি সদস্য মানিক মিয়ার সহায়তায় প্রেমিকাকে উদ্ধার করেন। আহত ওই ছাত্রীর অভিভাবকরা তাকে প্রথমে পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্যা কমপ্লেক্সে,পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
ওই ছাত্রীর মা বলেন, শুক্রবার, ১২ জুলাই বিকেলে ফোন করে আমার মেয়েকে ডেকে নিয়ে হাত পা বেঁধে মুখে টেপ দিয়ে নির্দয়ভাবে মারপিট করে হত্যার চেষ্টা করে।
এসআই মাহবুব সাংবাদিকদের জানান, পাশের বাড়ী থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে ইউপি সদস্যের জিম্মায় দিয়েছি। ওই ঘটনায় স্থানীয়ভাবে সংগৃহিত একটি ভিডিও সংরক্ষিত রয়েছে।
ওসি সরেস চন্দ্র বলেন, মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। জিহাদকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।