নীলফামারীর জলঢাকায় স্থানীয় এমপির সামনেই উপজেলা চেয়ারম্যানের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার, ৩ মে দুপুরে হরিশ্চন্দ্রপাঠ বহুমুখী স্কুল অ্যান্ড কলেজের অভিভাবক সমাবেশে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলেন, হরিশ্চন্দ্রপাঠ সুরিপাড়া এলাকার কাল্টু মামুদের ছেলে আনিছুর রহমান (৩৫) ও একই এলাকার ঝড়ু মামুদের ছেলে লোকমান হোসেন (৫০)।
উপজেলা চেয়ারম্যানের উপর হামলার প্রতিবাদে বিকালে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগের কয়েকটি অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, হরিশ্চন্দ্রপাঠ বহুমুখী স্কুল অ্যান্ড কলেজের উদ্যোগে অভিভাবকদের নিয়ে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মেজর (অব.) রানা মোহাম্মদ সোহেল।
এছাড়াও উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুর, ইউএনও মাহবুব হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুক্তারুজ্জামান, ওসি মোস্তাফিজুর রহমান, পৌর মেয়র ইলিয়াস হোসেন বাবলু, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সহীদ হোসেন রুবেল, জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব অধ্যাপক মমিনুল ইসলাম মঞ্জু, খুটামারা ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ শামীম, যুবলীগ আহ্বায়ক সারোয়ার হোসেন ছাদের প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্যের মনোনীত সভাপতিকে ঘিরে স্থানীয়রা বিরোধিতা করলে একপর্যায় তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এ সময় আকস্মিকভাবে উপজেলা চেয়ারম্যানের ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এতে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুর আহত হন।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুর বলেন, প্রতিষ্ঠানটিতে নিয়মিত কমিটি না থাকায় তা নিরসনের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্যের উপস্থিতিতে নিষ্পত্তি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক সহযোগিতা না করায় এবং তার পরিকল্পনা অনুযায়ী আমার ওপর পরিকল্পিতভাবে সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়।
সংসদ সদস্য মেজর (অব.) রানা মোহাম্মদ সোহেল বলেন, এ ঘটনায় কোনো স্বার্থান্বেষী মহলের ইন্ধন থাকতে পারে।
জলঢাকা থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এ ঘটনায় ইতোমধ্যে দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।
এবি/রাতদিন