চলাচলের পথ বন্ধ করে স্কুলের গ্যারেজ নির্মাণ শুরু করেছিল স্কুল কর্তৃপক্ষ। এলাকাবাসীর প্রতিবাদের মুখে বন্ধ হয় কাজ। খবর দেয়া হয় ইউএনওকে। তাৎক্ষনিক ইউএনও এসে খালি করে দেন রাস্তার জায়গা। মুহুর্তেই রক্তাক্ত পরিবেশের উপক্রম হওয়া ওই এলাকা হয়ে ওঠে আনন্দনগর।
রবিবার, ৭ জুন দুপুরে এমন বিরল ঘটনাই ঘটেছে নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার খেরকাটি উচ্চ বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে।
এলাকাবাসী জানায়, ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক জাহেনুর রহমান অনেকটা স্বেচ্ছাচারী হয়ে সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটিতে একটি সাইকেল গ্যারেজ নির্মাণের জন্য ভিত্তি দেন। তবে এটির ভিত্তি এমনভাবে দেয়া হয় যাতে এর পিছনে বসবাসরত মানুষজনের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। ভুক্তভোগী এসব লোকজন জোটবদ্ধ হয়ে নির্মান কাজ বন্ধ করে দেন।
এসময় স্কুল কর্তৃপক্ষ ও প্রতিবন্ধকতার শিকার এলাকাবাসী মুখোমুখী হয়ে সংঘর্ষে জড়ানোর প্রস্তুতি নিতে থাকে। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহাবুব হাসান ঘটনাস্থলে যান। এলাকাবাসী তাদের সমস্যা তুলে ধরেন। সেখানে চলাচলের জন্য জায়গা ছাড়তে বলেন স্কুল কর্তৃপক্ষকে। তিনি নিজে দাড়িয়ে থেকে ভিত্তি সরিয়ে নিয়ে চলাচলের জন্য জায়গা করে দেন।
এবিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা চঞ্চল কুমার ভৌমিক বলেন, সামান্য একটু বিষয় নিয়ে এতদুর আসা ঠিক হয়নি। স্কুল কমিটি বিষয়টি নিয়ে বসলেই সমাধান করতে পারতেন। এটা প্রধান শিক্ষকের ব্যর্থতা।
বিষয়টি সম্পর্কে জলঢাকা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহাবুব হাসান বলেন, জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করার অধিকার কারো নেই। প্রতিষ্ঠানটির চারিদিকে প্রাচীর ঘেরা হয়ে থাকলেও পিছনে বসবাসরত লোকজনের চলাচলের জন্য অবশ্যই পকেট গেট করে দিতে হবে।
জেএম/রাতদিন